জামালগঞ্জের সাচনা বাজার ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের জন্য লবিং, চলছে নেতাদের মধ্যে কাঁদা ছুড়াছুঁড়ি

কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের আশায় প্রতিক মনোনয়ণ পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা। ইতি মধ্যে উপজেলায় নৌকা প্রতিকের জন্য দলের দূর্নাম করে আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের রাজনীতিবীদ নেতাদের দুর্নাম করতে দলের নেতারাই দলের মান সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে শুরু করেছেন কিছু মিডিয়া কর্মীদের ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে। যার রুপ রেখা বেশে উঠেছে ইতি মধ্যেই অনলাইন পত্রিকায়? নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দলের সুনাম নষ্ট করতে অনেকেই ভুলে যাচ্ছেন দলের সংবিধান ও গঠনতন্ত্র? জনগনের কথা চিন্তা না করে নিজেদের স্বার্থ ও ক্ষমতার লোভে ভুলে যাচ্ছেন দলের আদর্শ । আর এসব ফুঁেঠ উঠে নির্বাচন এলেই। দেখাযায় এক নেতারা অন্য নেতাদের বলছেন রাজাকার সন্তান, দেশ বিরোধী আমলা, বিদ্রোহী ? অথচ অনুসঁন্ধানে জানা যায় যাদের রাজাকার সন্তান, দেশ বিরোধী আক্কা দেওয়া হচ্ছে যাদের নাম জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির বড়বড় পদ পদবী ভুক্ত তালিকায় । এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একমঞ্চে একত্রে সবাইকে একে ওপরের সুনাম গাইতেও দেখা যায় লম্বা বক্তব্য দিয়ে ? যখনি নির্বাচনের সময় আসে তখন দেখা যায় এবং মিডিয়া প্রচার হতে থাকে কে রাজাকার সন্তান আর কে দেশবিরোধী এবং কারা নৌকা প্রতীকের বিরোধীতাকারী? আর এসব খবর পাওয়া যায় শুধু আওয়ামীলীগ নেতাদের মুখেই এবং তথ্য সন্ধানে? যার যার ব্যক্তিগত পকেট গন মাধ্যম কর্মীদের দিয়ে আওয়ামীলীগের এক নেতা অন্য আরেক নেতার বিরোদ্ধে অপপ্রচার চালানো যেন একটি রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। কবে শেষ হবে আওয়ামীলীগ নেতাদের চুলকানি সেটাই ভাবনার বিষয়? নেতাদের চুলকানির ফলে সমাজে যেমন সুনামধন্য ত্যাগী নেতাদের মানসম্মান ক্ষুণ্য হচ্ছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে আওয়ামলীগ দলের। এমন প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে? কাদের ইশারায় চলে দলের আদর্শ ও মানসম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা? অন্য দিকে আওয়ামীলীগের ত্যাগী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মুল্যহীন নেতারা কাদেঁ নিরবে। নির্বাচনের তফসীল ঘোষনা হলেই এসব শুরু হয় প্রতীক পাওয়ার আশায়। তারই ধারাবাহিকথায় শুরু হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। ধাঁপে ধাঁপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন আর শুরু হচ্ছে নেতাদের কুন্দল, বিরোধীতা এবং অপপ্রচার। দেখা যাচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় নৌকার ভড়াডুবি ঘটছে? সামনে শুরু হবে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতি মধ্যে নৌকা প্রতীকের জন্য আওয়ামী দলের নেতাদের শুরু হয়েছে দৌড়যাপ। কেন্দ্রে অনেকের নামও চলে গেছে জানা যায়। অন্য দিকে নৌকা প্রতীক পাওয়ার আশায় একটি চক্র দুর্নাম ও ছড়াচ্ছেন সামাজিক মিডিয়ায়। গত ৩ডিসেম্ভর কয়েকটি অনলাইন পোট্রালে দেখাযায় জামালঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়। এনিয়ে শুরু হয় নেতাদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান জনপ্রিয় ব্যক্তি যাতে নৌকার মনোনয়ন না পায় সেই লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে একটি কুচক্রি মহল। তাদের উদ্দেশ্যেই হচ্ছে আওয়ামীলীগের ক্ষতি করা। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি/সাধারন সম্পাদক জনপ্রিয় প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে প্রেরণ করলেও আওয়ামীলীগে ঘাপটি মেরে বসে থাকা হাইব্রীড কুচক্রি মহল যেকোন ভাবে দলীয় হাই কমান্ডের মন ভুলিয়ে বাগিয়ে আনে নৌকার প্রতীক। ফলে হয় নৌকার ভরাডুবি এবং জামানত বাজেয়াপ্ত। তিনি আরও বলেন তারা এমন একটি মহল যারা জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের ক্ষতি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই সমস্ত কুচক্রি মহলের তৎপরতায় ৩য় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সুনামগঞ্জ সদরে নৌকা প্রতিকের কোন প্রার্থীই বিজয় লাভ করতে পারেন নাই। এর কারন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্ট্রার এনামুল কবির ইমন বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ব্যাখ্যা করেছেন। তিনিও দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন জনপ্রিয় ব্যক্তিকে তারা নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ করলেও নৌকার মনোনয়ন পায় আনকোরা ব্যক্তি। জনপ্রিয় ব্যক্তি যাতে নৌকার মনোনয়ন না পায় সেই জন্য একটি মহল বিভিন্ন ভাবে মিথ্যচার করে চলেছে। তাদের লক্ষ্যই সাধারন মানুষের কাছে আওয়ামীলীগকে খাটো করা। জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এহাছনুল করিম পারভেজের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান বিভিন্ন সংস্থার জরিপে তিনি এগিয়ে থাকায় ঐ কুচক্রি মহল বিভিন্ন ধরনের প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্শ্বান্বিত হয়েই আওয়ামী লীগের ভরাডুবি আরো ত্বরান্বিত করতেই মাঠে নেমেছে ষড়যন্ত্রকারীরা। তিনি আরো জানান তার ভাই সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রোজউল করিম শামীম জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় হাইকমান্ড তাহাকে নৌকার মনোনয়ন না দেওয়া তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান। এবার ইউনিয়ন নির্বাচনে আমি নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী তাই একটি কুচক্রি মহল দলের মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই