• লিড

    সিলেটে ‘স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে যুবকের বাড়ির সামনে রেহেনার অবস্থান, এলাকায় তোলপাড়

      প্রতিনিধি ২১ নভেম্বর ২০২১ , ৭:২০:০৫ অনলাইন সংস্করণ

    মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল বিশেষ প্রতিনিধি। সিলেটের জালালাবাদ থানার কালীবাড়িতে এক যুবকের বাড়ির সামনে গত দুদিন থেকে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে অবস্থান নিয়েছেন এক নারী, এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। মোছা. রেহেনা আক্তার (৩৬) নামের ওই নারী চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার শিদনা গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের মেয়ে। জালালাবাদ থানাধীন সিলেট মহানগরীর কালীবাড়িস্থ বন্ধন ১৪-ডি এর বাসিন্দা মো. আবু হানিফের ছেলে মিছবাহুজ্জামান রুহিনকে স্বামী দাবি করে তার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন রেহেনা। রুহিন পেশায় একজন থাই মিস্ত্রি। রেহেনা জানান, দীর্ঘদিন রুহিনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ফেসবুকের সূত্র ধরে এ সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ৮ মাস আগে কোর্টের মাধ্যমে তারা দুজন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পরে রুহিন তাকে নারায়ণগঞ্জে একটি বাসায় রেখে সিলেটে থেকে কিছুদিন পর পর গিয়ে সেখানে থাকতেন। এভাবে ৭ মাস একসঙ্গে সংসার করার পর এখন রেহেনাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিচ্ছেন না রুহিন। এড়িয়ে চলছেন তাকে। এ জন্য স্ত্রীর স্বীকৃতি ও ‘স্বামীর’ বাড়িতে অবস্থান পেতে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) থেকে রুহিনের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। রুহিন যদি তাকে মেনে নিয়ে বাড়িতে না তুলেন তবে মারা যাবেন বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি। রেহেনা আরও জানান, কোনো কাবিনামা তার কাছে নেই। কিন্তু রুহিনের সঙ্গে তার প্রেম চলাচালীন সময় থেকে তার পরিবারের সবার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। বিয়ের পরেও তিনি নিয়মিত শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন বলে দাবি করছেন রেহেনা। বর্তমানে রুহিনের কথায় তার পরিবার রেহেনাকে মেনে নিচ্ছে না। রেহেনার কাছে কাবিননামা না থাকলেও ফোনের কথোপকথনের রেকর্ড ও মেসেজ আদান-প্রদানের প্রমাণ রয়েছে বলে তিনি জানান। তাছাড়া এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেছেন রেহেনা। পিটিশন মামলা নং- ৩৩৫/২০২১। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জালালাবাদ থানার সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পিবিআই থেকে রুহিনের বাড়ি-ঘরের ঠিকানা ও তার স্বভাব-চরিত্রের বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়ে। পরে আমি তদন্ত করে এ বিষয়ে পিবিআই’র কাছে রিপোর্ট প্রদান করেছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহিনের বক্তব্য জানতে তার দুটি মুঠোফোন নাম্বারে কল দিলে দুটিই বন্ধ পাওয়া যায়। সিলেট সিটি করপোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ওই মহিলা আমাদের কাছে এসেছিলেন বিচার চাইতে। আমরা বলেছি- কাবিননামা বা উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে আসতে। এরপর তিনি চলে যান। রুহিনের বাড়ির সামনে তার অবস্থান বা অনশনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না, আমি বর্তমানে ঢাকায়।

    আরও খবর

    Sponsered content