প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২১ , ৭:০৫:০৮ অনলাইন সংস্করণ
কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ থেকে: সুনামগঞ্জের ধুপাঁজান চলতি নদীতে প্রশাসনের চোখ ফাকিঁ দিয়ে রাতের আধাঁরে চলছে প্রভাবশালী চক্রের দ্বারা বালু ও পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। সীমান্তবর্তী ডলুরাসহ কাইয়েরগাওঁ এলাকায় প্রভাবশালী একটি চক্র প্রতিদিন সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে (ধামাইল) চলতি নদীসহ কয়েকটি স্পট থেকে প্রকাশ্যো ও রাতের আধারেঁ পার কেটে উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ টাকার বালু ও পাথর। ফলে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে মসজিদ, কবরস্থান, রাস্তা ঘাট ও বসতবাড়ি। বালু ও পাথর উত্তোলণের ফলে ধোঁপাজান নদী এখন রহস্যময় সমুদ্র রুপে আকার ধারণ করছে। সরকার ও প্রশাসনের তরফ থেকে ধুপাজান (চলতি) নদীতে বালু ও পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও একটি প্রভাবশালী পাথর খেকো চক্র রয়েছে যারা প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রতি নিয়ত অবৈধ ভাবে পার কেটে নিয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ টাকার বালু ও পাথর।
এছাড়াও পকৃত ব্যবসায়ী যারা রয়েছেন তাদের দাবী নদীরপা্রে রাখা স্টক করা বালু ও পাথর নিলামের নাম করে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছ। সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ডলুরা শহীদের গণকবরের পাশে (ধামাইল) চলতি নদীতে চলে দিনে রাতে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন। এই চলতি নদীকে ঘিরে ডলুরা ও নারায়নতলা দুটি বিজিবির ক্যাম্প ও রয়েছে। এই অবৈধ কর্মকান্ডগুলো চলে তাদের সামনে। যার ফলে নদীর পাড়ে থাকা মসজিদ,মন্দির, ফসলী জমি, অসহায় মানুষের চলাচলের রাস্তা, বসতবাড়ি, কবরস্থানসহ নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে প্রতি নিয়ত। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম। একদিকে যেমন লাভবান হচ্ছে কিছু অসাধু কর্মকর্তা পাশাপাশি অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করে সরকারের রাজস্ব ফাকিঁ দিয়ে একটি প্রভাবশালী চক্র হাতিয় নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। যার কারনে সুন্দর্য হারাচ্ছে ধুপাজান নদীর ভারসাম্য ও পরিবেশ। ধুপাজান চলতি নদী এখন হয়ে উঠেছে রহস্যময় সমুদ্রে রুপে পরিনত। এছাড়াও বিশ্বম্ভর পুর এং সুনামগঞ্জ সদর দুটি থানায় মধ্যে অবস্থিত এই ধোপাজান নদী। নদী তীরবর্তী ডলুরা গ্রামের প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট চক্র প্রতিদিন প্রকাশ্যে দিবালোকে (ধামাইল) চলতি নদী হতে সরকারের রাজস্ব ফাকিঁ দিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী হতে পাথর উত্তোলন করে। ঐ সমস্ত অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে সঠিক কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়না এমটি দাবী সাধারণ মানুষের। মাঝে মধ্যে ঐ সমস্ত পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও সীমান্ত নদীতে পাথর উত্তোলন যেন বন্ধই হচ্ছে না। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করে ছেড়ে দিচ্ছেন ঐ সমস্ত অবৈধ বালু পাথর উত্তলণ কারীদের। যার ফলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলে ও তাদের ব্যবসার কোন ক্ষতি হয়না বরং প্রতি বলগেট নৌকায় লাখ কানিক টাকা ইনকাম হয়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কঠোর নির্দেশনা দিয়ে থাকলেও সেটি পালন হচ্ছেনা সঠিকমত। সরেজমিনে গিয়ে দেখা সীমান্তবর্তী ডলুরা থেকে শুরু করে আদাং, খাইয়েরগাওঁ,রামপুর, সৈয়দপুর, বালাকান্দা বাজারসহ আরও একটি সিন্ডিকেট চক্র প্রতিদিন ধুপাজান চলতি নদীসহ কয়েকটি স্পট থেকে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলণ করে শত শত পঙ্গপাল নামে নৌকা যুগে বড় বড় বলগেট/কার্গো জাহাজ/সুরমা নদীতে রেখে বুজাই দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের রমরমা ব্যবসা এবং গভীর রাতে বড় বড় বালু ভর্তি বলগেট নৌকা চলে । সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে¡ এবং দুটি বিজিবি ক্যাম্প, দুটি থানা , ১টি নৌ-পুলিশ ফাড়িসহ ডিবি পুলিশ, নৌপুলিশ,বিশ^ম্ভরপুর থানা পুলিশ,সদর থানা পুলিশের নিয়মিত টহল থাকা সত্তে ¡কিভাবে চলে বালুও পাথর উত্তোলন সেঠিই এখন রহস্যময় ভাবনার বিষয়? নদীর পাড়ে থাকা অসহায় মানুষের দাবী প্রশাসন লোকেরা সুযোগ না দিলে নদী ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে। উর্ধ্বতন র্কতৃপক্ষ ঐ সমস্ত অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলণকারীদের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করে ধোপাজান নদী ও পরিবেশ রক্ষা করবেন এমটি দাবী নদীর পাড়ে থাকা অসহায় মানুষের।