• ফিচার

    নতুন দল গণ অধিকার পরিষদ এবং রাজনৈতিক ভাবনা

      প্রতিনিধি ২৮ অক্টোবর ২০২১ , ৭:৪১:৫৩ অনলাইন সংস্করণ

    কবি আউয়াল জামান কয়েছঃ বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির বিকল্প নেই, যদিও দেশে শতাধিক রাজনৈতিক দল বিদ্যমান, কিন্তু বড় দুটি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীএই দুটি রাজনৈতিক দলের ধারে কাছেও অন্য কোনো দল যেতে পারছে না। এর জলন্ত প্রমাণ বর্তমান সংসদে নামকাওয়াস্তে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টি তারা সরকারি দল নাকি বিরোধী দল, তা নিয়ে নিজেদের দলের মধ্যেই বিভ্রান্তিতে রয়েছে, যা তাদের কথা বার্তায় এবং সংসদের বক্তব্য থেকে প্রতিয়মান হয়। আরেকটি দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যাদের গলায় ঝুলছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের কলঙ্কের মালা, পাশাপাশি দলীয় প্রতীক সংকটে ভুগছে এই দলটি। খুব বেশি দিন হয়নি, ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়ে দেশে এসে চেষ্টা করেছিলেন একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করতে। ঘৃণা ও প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে দেশকে বের করে নিয়ে আসতে। কিন্তু ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায় এই রহস্যময় উক্তি করে তিনি রাজনীতির উঠোন থেকে অনেক দূরে, বর্তমানে নিরবতা পালন করছেন। মাঝখানে দেখেছি মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এ, বি, পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি) নামক একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত হলো, তাদের মূল মন্ত্র থেকে দেশের মানুষের মনের কোণে এক বিন্দু আশার আলো জ্বলেছিল, হয়তো এবার একটা কিছু হবে! কিন্তু রহস্যজনক হলেও সত্য, তাদের কোনো কার্যক্রম এখন আর চোখে পড়ে না। এবার,”জনতার অধিকার আমাদের অঙ্গীকার” এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে ডঃ রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক করে নূরুল হক নূর প্রতিষ্ঠা করেছেন নতুন রাজনৈতিক দল “;গণ অধিকার পরিষদ” যা বেশ কিছুদিন ধরে আলোচিত হয়ে আসছিলো। তারা আগামী নির্বাচনে তিনশ আসনে প্রার্থী দেবেন বলে জানিয়েছেন, এবং নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করতে যে সকল শর্ত প্রযোজ্য, তা পূরণ করতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বর্তমান বাংলাদেশে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ছোবল সহ্য করে কি এই নতুন রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারবে? যদিও নূরুল হক নূরের কন্ঠে উনার কর্মি-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় বহুবার শুনেছি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গিয়ে যদি আমাকে গুম বা খুন করা হয় তবুও আপনারা থেমে থাকবেন না, গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কি পরিমান সৎ সাহস ও দৃঢ় মনোবল থাকলে এই ধরনের কথা বলা যায়? তা সহজেই অনুমেয়। এই মনোবল অক্ষুন্ন রেখে যদি “গণ অধিকার পরিষদ” এগিয়ে যেতে পারে, প্রথমত গনতান্ত্রিক পন্থায় দল পরিচালিত হয়, নেত্রীত্বে যদি সৎ, যোগ্য এবং সাহসী নেতারা থাকেন, তাহলে দেশের মানুষ আগামী দিনগুলোতে সুন্দর পরিচ্ছন্ন একটি রাজনৈতিক দল, পরিবেশ, সর্বোপরি রাজনৈতিক সুবাতাস প্রত্যাশা করতেই পারে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই, নতুনে যারা ভীত তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয় না! দেখা যাক এবার কিছু একটা হয় কি না? কবি নজরুলের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে আরেকবার বলতে চাই। ঐ নতুনের কেতন ওরে কাল- বোশেখীর ঝড়! তোরা সব জয়ধ্বনী কর! তোরা সব জয়ধ্বনী কর!

    আরও খবর

    Sponsered content