• লিড

    একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অযথা বদনাম রটায়,আমি কোন আবাদি নই, আমি সুনামগঞ্জ জেলারই সন্তান..পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

      প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২১ , ৪:৩৬:২১ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান বলেছেন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্রয়াত মেযর আয়ূব বখত জগলুল আমার এক ছোটভাই সবসময়ই ছিলেন আপোষহীন প্রতিবাদি ও উন্নয়নমূখী জনপ্রতিনিধি। তিনি ফুটবলপ্রেমী ছিলেন বলেই এই পৌরবাসীর কল্যাণে এবং বর্তমান প্রজন্মের ছেলেদের মাদকমুক্ত রাখতে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকতেন এবং বিনোদনের ব্যবস্থা ও তিনি করে গেছেন। তিনি আজ নেই কিন্তু তার উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো সুনামগঞ্জের মানুষ আজীবন লালন করবেন। তিনি নিজের জন্মস্থান সুনামগঞ্জে,এই জেলায় তার জন্ম হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন জেলা শহরে আমার বাসা নেই কিন্তু এই জেলায় জন্ম হয়েছে উল্লেখ করেন । তিনি দেশব্যাপী নিজেকে সুনামগঞ্জের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। আমি এমন কোন কাজ করব না যাতে এই জেলার কোন ক্ষতি হয়। এই জেলায় আমি কিছু কাজ করেছি যা এই জেলার মানুষ ভোগ করবে। আমি মন্ত্রী হিসেবে আমি আমার জন্য কিংবা আমার পরিবারের জন্য কিছু করছি না । তার প্রচেষ্ঠায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে,পৌর কলেজের ৬তলা ভবণ তিনি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন,পুরাতন জেলখানার সংস্কার কাজ ও করা হয়েছে,আমার অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাতকের সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর জন্য দেড়হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। তাছাড়া ছাতকে ব্রীজের জন্য, দিরাই শাল্লার উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু একটি মহল অযথা অসত্যভাবে আমার নামে বদনাম ও অপবাদ রটায় প্রতিনিয়ত,আমি নাকি সুনামগঞ্জের বিরুদ্ধে কাজ করি। আমি কোন আবাদি মানুষ নই আমি সুনামগঞ্জের স্থানীয় মানুষ আমার বাপ দাদা চৌদ্দগোষ্টির বসবাস এই জেলায় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। এদিকে এই খেলার মাঠটির পাশে হরিজন সম্প্রদায়ের বসবাস ফলে খেলাধূলায় সমস্যা হয় এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন শহরের ভেতরে সরকারী জায়গা বের করার পর হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের জন্য পূনবাসনের ব্যবস্থা করে দিবেন এবং খেলার মাঠটি আধুনিকায়নসহ মাঠটি সম্প্রসারন করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। মন্ত্রী আরো বলেন সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে কোরআন শরীফ নিয়ে রাখা এবং তাদের প্রতিমা ভাংচুর,বাড়িঘরে হামলা এটা একটি ষড়যন্ত্র। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে একটি গোষ্ঠি ঈষান্বিত হয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই পরিকল্পিতভাবে এমন কর্মকান্ড করা হয়েছে যা দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত র্দূভাগ্যেজনক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বাংলাদেশে প্রতিটি ধর্মের মানুষ সম অধিকার নিয়ে নিরাপদে বসবাস করবে এবং স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি এই অনাকাংঙ্খিত কর্মকান্ডের সাথে যারাই জড়িত থাক না কেন তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদানের ঘোষনা দেন। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্রয়াত মেয়র আইয়ূব বখত জগলুল স্মরণে স্মৃতি নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইন্যাল খেলা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন প্রয়াত মেযর আইয়ূব বখত জগলুল এমন একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন তার কোন তুলনা ছিলনা। তিনি সব সময় এই পৌরবাসীর কল্যানে কাজ করে গেছেন এই সমাজের বর্তমান প্রজন্মকে বিপদগামি না হওয়ার জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করেছিলেন ফটবল খেলা ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে তিনি ছিলেন উন্নয়নমুখী। এই প্রয়াত মেযর তার জীবদ্দশায় গেল জেলা পরিষদ নির্বাচনে তাকে বিজয়ী করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। জগলুল ছিলেন সেই নেতা যিনি জনগনকে সবসময় ভালবাসতেন। আজ জগলুল নেই কিন্তু তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড,দূরদর্শিতা এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো সুনামগঞ্জবাসী চিরদিন মনে রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং প্রয়াত মেযরের বাকি স্বপ্নঁগুলো বাস্তবায়নে তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ও পৌরসভার বর্তমান মেযর প্রয়াত জগলুলের উত্তরসূরী ছোটভাই নাদের বখত মিলে এই শহরকে জগলুলের স্বপ্নেঁর শহরে পরিণত করতে কাদেঁ কাঁদ মিলিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার পূণব্যক্ত করেন নুরুল হুদা মুকুট্। পরিশেষে তিনি প্রয়াত মেযর আইয়ূব বখত জগলুলের আত্মার শান্তি কামনা করেন্ । আয়ূব বখত জগলুল স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা ও পৌরসভার মেয়র নাদের বখতের সভাপতিত্বে ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল নোমানের সঞ্চালনায় ফুটবল খেলায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন,জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসের,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহারিয়ার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম) আবু সাঈদ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মো. জয়নাল আবেদীন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক দেওয়ান ইমদাদ রাজা চৌধুরী,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস,কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এড. আজাদুল ইসলাম রতন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী,দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মোশারফ মিয়া,পরিকল্পনামন্ত্রী ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সচিব মো. হাসনাত হোসাইন,তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর,জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. সেলিম আহমদ,বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. জিয়াউল হক,জগন্নাথপুর পৌরসভার কাউন্সিলর মো. সুহেল আহমদ,টি আই ও মো. শামছুল ইসলাম,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সহিদুর রহমান, ডিবির ওসি মো. ইকবাল বাহার, সদর যুবলীগের সভাপতি এহসান আহমদ উজ্জল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপন,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দিপংঙ্কর কান্তি দে,আইয়ূব বখত জগলুল স্মৃতি পরিষদের সভাপতি শফিকুল ইসরাম ফরহাদ,সিনিয়র সহ সভাপতি সুজন মিয়া,এড. মো. রুখসান আলী,আনোয়ার আলম,সাধারন সম্পাদক আমির হোসেন,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এড. আজিজুল ইসলাম সৌরভ,সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত শিহাব প্রমুখ। প্রমুখ। খেলায় জহিরুল এ এস সি দলকে ০২-০১ গোলে পরাজিত করেন আরফিন নগর এ এফ সি দল বিজয়ী হয়। পরে মন্ত্রী বিজয়ী দল হিসেবে আরফিন নগর এ এফ সি এর হাতে মোটর সাইকেলের চাবি তুলে দেন এবং জহিরুল এ এস সি দলের হাতে ফ্রিজ তুলে দেন।

    আরও খবর

    Sponsered content