প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৪:৪৫:১৬ অনলাইন সংস্করণ
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস পর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে জগন্নাথপুর এর শিক্ষাঙ্গন গুলোতে।শুরু হয়েছে পাঠদান কার্যক্রম। আনন্দ- উল্লাসে মাতোয়ারা অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বৈশ্বিক মহামারী মরনব্যাধী করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতার লক্ষে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা ৫৪৪ দিন বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্য বিধি মেনে আজ ১২ ই সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার খুলেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায় ও জানাযায়, সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সবকটি শিক্ষাঙ্গনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আনন্দ -উল্লাস বিরাজ করছে। শিক্ষাঙ্গনে আসা শিক্ষার্থীদের হ্যান্ড স্যানেরাইজার দেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরে না আসা শিক্ষার্থীদের মাস্ক দেওয়া হয়েছে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে সিটে বসানো হয়েছে। পাঠদান কার্যক্রম চলছে। এ ব্যাপারে আটপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষার্থী লিমন আহমদ ও স্বরূপ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুজেল আহমদ সহ একাধিক শিক্ষার্থী তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক কষ্ট অনুভব করেছি। অনেক ক্ষতি হয়েছে। লেখা -পড়ার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে পড়েছি। এখন স্কুল খুলেছে ভাল লাগছে।সহপাঠীদের সাথে দেখা হয়েছে কোশল বিনিময় করেছি। শিক্ষক মহোদয়গন ক্লাস নিচ্ছেন। এযে কি আনন্দ মূখের ভাষায় বলে শেষ করার মত নয়। আটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী আরিফা বলে,স্কুলে আসার মজাটাই আলাদা। লেখা- পড়ার পাশাপাশি সহপাঠীদের সাথে খেলা-ধুলা করা যায়। এক প্রশ্নের জবাবে সে আরও বলে, স্যাররা আদর করার পাশাপাশি মজার মজার শিক্ষনীয় গল্প শোনান। আমি স্কুল মিস করতে চাইনা। ইকবাল,শহীদ ও রিয়াজুদ্দিন নামক অভিভাবক সহ একাধিক অভিভাবক বলেন, শিক্ষাঙ্গন খোলাতে ভালই হলো। ছেলে -মেয়েরা লেখা -পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। স্বাস্থ্য বিধির প্রতি কটোর থাকার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ রইলো। আটপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোঃ আজমল হোসেন বলেন, মহামারী করোনাভাইরাস এর বিস্তার রোধকল্পে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল। এতে ছাত্র- ছাত্রীদের লেখা -পড়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আমরা শিক্ষকরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব। যাতে তাহারা পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, করোনার প্রকোপ স্বাভাবিক হওয়ায় আজ ১২ ই সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি নির্দেশনায় শিক্ষাঙ্গন খোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে পাঠদান কার্যক্রম চলবে। এতে কোনো রকমের গাফলতি হবে না।