প্রতিনিধি ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৭:৪৬:২৭ অনলাইন সংস্করণ
সূত্রটি জানায়, মাইনমুক্ত করা ও আক্রমণ চালানো- উভয়টিই একইসাথে চলছে।
তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য আনামুল্লাহ মাসাঙ্গাানি শনিবার বলেন, তালেবান বাহিনী পাঞ্জশিরের শুতুল, পারিয়অন, খেঞ্জ ও আবশার দখল করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পাঞ্জশিরের প্রাদেশিক কেন্দ্র আনাবার কাছে লড়াই চলছে।
বিদ্রোহীদের মরিয়া চেষ্টার মুখে তালেবান দৃশ্যত সরকার ঘোষণার আগেই বিদ্রোহ অবসান ঘটাতে চায়।
তবে কাজটি যে কঠিন তা বোঝা যাচ্ছে। অবশ্য পাঞ্জশিরের পতনের খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে কাবুল ও অন্যান্য স্থানে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে উল্লাস প্রকাশ করেছিল তালেবান। আর তাতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়।
এই প্রেক্ষাপটে তালেবানের এক মুখপাত্র বলেছেন, গুলিবর্ষণ বন্ধ করে এর বদলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া প্রকাশ করা উচিত।
তালেবান তাদের অগ্রগতির খবর জানাতে বিদ্রোহীদের কাছ থেকে আটক করা কয়েকটি ট্যাংক ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের ছবি প্রকাশ করেছে সামাজিক মাধ্যমে।
পাঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ দ্রুত লাভ নিশ্চিত করা তালেবানের জন্য খুবই দরকার। কারণ শীত এসে গেলে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ ও আহমদ মাসুদের বাহিনীকে পরাজিত করা আরো কঠিন হয়ে যাবে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের দিকেই ভয়াবহ শীত শুরু হয়ে যায়। তখন বড় ধরনের কোনো অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।
অন্য দিকে সালেহর ন্যাশনাল রেসিসট্যান্স ফ্রন্ট সময় ক্ষেপণের চেষ্টা করছে। তালেবান বাহিনীকে কয়েক সপ্তাহ ঠেকিয়ে রাখা গেলে আরো অন্তত ৫ মাস সময় পাওয়া যাবে। এই সময়ের মধ্যে তারা বিদেশী শক্তিগুলোর কাছ থেকে সাহায্য নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে।
সূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা