প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ২:৫১:১০ অনলাইন সংস্করণ
কিন্তু, তিন বাচ্চার মা রাবিয়া জামালের (৩৫) জন্য অন্য আয়ের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এ বিষয়ে রাবেয়ার বক্তব্য, ‘আমার পরিবারকে সমর্থন দেয়ার জন্য আমার অর্থের দরকার।’
আগে কাবুল বিমানবন্দরে ৮০ নারী কাজ করতেন। এখন পশ্চিমা বাহিনীর সাথে বিদেশে চলে যাওয়া ও নিরাপত্তা সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণে কাবুল বিমানবন্দরে মাত্র ১২ নারী কাজে ফিরেছেন। তারা কাজে ফিরে এলে তাদেরকে কোনো বাধা দেয়নি তালেবান কর্তৃপক্ষ।
ওই নারীরা এখন কাবুল বিমানবন্দরেই কাজ করছেন। এদের মধ্যে ছয় নারীকে দেখা গেছে ওই বিমানবন্দরে প্রধান প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা গল্প করছিলেন এবং হাসছিলেন। তারা মূলত ডমিস্টিক ফ্লাইটে যাওয়া নারীদের দেহ তল্লাশি ও স্ক্যান করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
রাবিয়া জামালের বোন কুদসিয়া জামাল (৪৯) বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের সময় তার বোন খুব শঙ্কিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আমিও খুব শঙ্কিত ছিলাম। কারণ, আমার পাঁচ সন্তান আছে। আর আমিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।
কুদসিয়া জামাল বলেন, আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে নিয়ে খুবই শঙ্কিত ছিল। তারা আমাকে কাজ করতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু এখন আমি খুশি। কারণ, এখন আমার কোনো সমস্যা নেই।
সূত্র : আরব নিউজ