প্রতিনিধি ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৭:৩২:৩১ অনলাইন সংস্করণ
শনিবার আদালতের গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সোহেল রানা ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ, নাজনিন নাহার বিথি, কাওসার, কামরুল হাসান, আবদুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান।
জানা গেছে, গতকাল (৩ সেপ্টেম্বর) গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের হয়। পরে মামলাটি আদালতে পৌঁছলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান এজাহারটি গ্রহণ করে তদন্ত করে আগামী ১০ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারণ করেছেন।
ইসতিয়াক হোসেন টিটু নামের এক ভুক্তভোগী গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত ইসতিয়াকের জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা ই-অরেঞ্জ নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মচারী ও সহযোগী। তারা ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহ ও বিক্রি করেন। মামলার বাদী ও সাক্ষীরা প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে পণ্য কেনার জন্য নগদ/বিকাশ/ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড/ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ও তারিখে অর্থ প্রদান করে। যার পরিমাণ ৭৬ লাখ ৪১ হাজার ১০২ টাকা টাকা। টাকা প্রদানের পর পণ্য না দিয়ে আসামিরা এই অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।
এর আগে অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় গত ১৭ আগস্ট ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রতারণার শিকার গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। ওই সময় তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই মামলা হয়। আসামিরা হলেন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ এবং পুলিশের বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।
সূত্রঃ যুগান্তর