প্রতিনিধি ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৮:২৭:২৩ অনলাইন সংস্করণ
ভাটি বাংলা ডেস্কঃ পাকিস্তানের নেতৃত্বে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেয় চীন, পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ও তুর্কেমিস্তান।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাই আমির আবদুল্লাহিয়ান, তাজিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন মোহরিদ্দিন, উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল আজিজ কামিলভ এবং তুর্কেমিস্তানের ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভেপা খাদজীয়েব ইনদিটেম।
সভাপতির বক্তব্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেন, আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার জন্য প্রতিবেশী সব দেশগুলো এগিয়ে আসা উচিত। আফগান জনগণের ভোগান্তি লাঘবে আমাদের সবাইকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেখা প্রয়োজন। ওই দেশের সব অঞ্চলে অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে সবাইকে গুরুত্ব দিতে হবে।
তালেবান আফগানিস্তানের কাবুল নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সময়কার পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে ভয়ংকর কোনো রক্তপাত হয়নি। ক্ষমতার পালাবাদলের সময় দ্বন্দ্ব ও সংঘাত এড়ানো গেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়াং লি বলেন, আফগানিস্তান এখন বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষ করে মানবিক সমস্যা, করোনা মহামারীতে মানুষের বেঁচে থাকা। আর কিছু বিষয় আছে যেগুলো আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তানে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার এখনও বহু বাকি। তবে তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থানে বেশি সময় নেয়নি চীন।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, গত বুধবার আফগানিস্তানের প্রতিবেশি কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে ত্রাণের হিসেব নির্ধারণ করা হয়। প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান।
ওয়াং ই এসব দেশকে আফগানিস্তানকে সাহায্য করতে সহায়তার আহ্বান জানান।
তালেবান সরকার গঠনের পরই আফগানিস্তানে ৩ কোটি ১০ লাখ ডলার জরুরি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে চীন।
আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ ঘোষণা দেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়াং লি।
তিনি বলেন, আফগানিস্তান এখন বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষ করে মানবিক সমস্যা, করোনা মহামারীতে মানুষের বেঁচে থাকা। আর কিছু বিষয় আছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
আফগান জনগণকে বাঁচাতে প্রয়োজন বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক সহায়তা। আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার জন্য, উন্নয়নের জন্য, তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সবাইকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।