• লিড

    অপরাধী চক্রের নিকট জিম্মি ব্যবস্থা না নিলে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

      প্রতিনিধি ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৩:০৩:০৮ অনলাইন সংস্করণ

    মাহমুদ আহসান হাবিব: ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার ১৮নং শুখানপুখুরী ইউনিয়নের একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের নিকট এই ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ এখন জিম্মি হয়ে পড়েছে।এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে নাজেহাল,নারীদের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে প্রচারের হুমকি দিয়ে অনৈতিক সুযোগ গ্রহণ সহ নানাবিধ অপরাধ করে আসছিল। সম্প্রতি এমন একটি অপরাধ কর্মকাÐের ঘটনা জনসমম্মুখে প্রকাশ হয়েছে। ঘটণার বিবরনে জানা যায়, শুখানপুখুরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামে অপরাধী চক্রের সংঘবদ্ধ এই অপরাধী চক্রের নাম-ধামসহ অপরাধ কর্মের দূর্ধর্ষ ঘটনা প্রকাশ হয়েছে। নজরুল কবির, পিতা- জলিল বক্স, লাউথুতি শুখানপুখুরী সদর ঠাকুরগাঁও একই ঠিকানায় আব্দুর রহমান, পিতা- জহির উদ্দীন, এর বিরুদ্ধে “চেক ডিজ অনার” ২০ লাখ টাকার অভিযোগ এনে ৫ই এপ্রিল/২১ তারিখে মামলা করেন সদর উপজেলা ঠাকুরগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। অপরদিকে আব্দুর রহমান অপরাধ চক্রের ঐ সংঘবদ্ধ দলটির উল্লেখ্যযোগ্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন ২৫ আগষ্ট/২১, ঐ মামলায় ০৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আরজির বর্ণনায় দেখা গেছে সংঘবদ্ধ দলটির অপকর্মের চালচিত্র। জানা যায় আব্দুর রহমানকে পরিকল্পিত ভাবে বিপদে ফেলে বøাকমেইল করে হালিমা বেগম স্বামী- জুলফিকার আলী একই গ্রামের জাহিদুল করিম বাবু, পিতা- আবুল হোসেন, নজরুল কবির, পিতা- জলিল বক্স, আয়নাল হক, পিতা- আবুল কাশেম, আব্দুস সালাম মাস্টার, পিতা- আয়নাল সরকার। এ সংঘবদ্ধ দলটি তাহাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে আব্দুর রহমানকে হালিমা বেগমের ঘরে তাকে উলঙ্গ করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে জোড় পূর্বক ভাবে হালিমা বেগমকে নিয়ে আপত্তিকর ভিডিও তৈরী করে কিছু ভিডিও ছবি তুলে ইন্টারনেটে আপলোড করার হুমকি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে উক্ত ছবিগুলো প্রকাশ না করার শর্তে সংঘবদ্ধ দলটি ইতিপূর্বে তার নিকট ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছে বলে আব্দুর রহমান এ প্রতিনিধির নিকট দাবি করেছেন। এরপর উক্ত চক্রটি এ ঘটনায় আরো টাকা দাবি করলে আব্দুর রহমান তাদেরকে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপর চক্রটি ভয়ভিতী দেখিয়ে সংঘবদ্ধ দলটির নজরুল কবির আব্দুর রহমানের নিকট একটি ব্যাংকের স্বাক্ষরযুক্ত চেক আদায় করেন। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান ভিডিও প্রকাশ না করার শর্ত মোতাবেক প্রতি মাসে চুক্তিবদ্ধ টাকা তাদেরকে প্রদান করিতে ব্যর্থ হলে নজরুল কবির ২০ লক্ষ টাকা চেকে লিখে ব্যাংকে দাখিল করেন। পরবর্তীতে চেকটি ব্যাংক থেকে ডিজঅনার হলে আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে নজরুল কবির একটি মামলা দায়ের করেন। নজরুল কবির দাবি করেন এ বিশ লক্ষ টাকা তিনি ইতোপূর্বে ধার হিসেবে আব্দুর রহমানকে দিয়েছিলেন কিন্তু সময়মত আব্দুর রহমান সেটা শোধ করতে না পারায় চেক লিখে দেন। উল্লেখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুখানপুখুরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সংঘবদ্ধ দলটি অতি পুরাতন, ইতোপূর্বে সাক্ষী প্রমাণ না থাকায় এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। এছাড়াও অত্র এলাকার চেয়ারম্যান ও জনগণ জানান নজরুল কবির আদৌ কাউকে ২০লাখ টাকা হাওলাত প্রদান করেছেন এটা আশ্চর্যজনক এবং অসম্ভব। এ বিষয়ে নজরুল কবির জানান তিনি তাকে ২০ লাখ টাকা হাওলাত দিয়েছেন। জাহিদুল করিম বাবুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে এবং স্বশরীরে পাওয়া যায় নাই। অনেকেই মনে করেন, হালিমা বেগম সহ আব্দুর রহমানের পর্ণগ্রাফি ভিডিও প্রকাশ ছিল জাহিদুল করিম বাবু ও হালিমা বেগমের নতুন মঞ্চস্থ নাটক। সচেতন মহল মনে করেন বিষয়টি সম্পর্কে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

    আরও খবর

    Sponsered content