প্রতিনিধি ১ আগস্ট ২০২১ , ৮:২৮:৩৮ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল বিশেষ প্রতিনিধিঃ করোনা মহামারীর কারণে নিন্ম আদালত বন্ধ থাকায় হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে ধারন ক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ আসামি রয়েছে। ফলে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমনকি আসামিদের মধ্যে করোনা আতংকও বিরাজ করছে। প্রতিদিন বিভিন্ন থানা থেকে আসামি ধরে পুলিশ হবিগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করে। কিন্তু এদের কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় না। অনেক আসামিদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ভাইরাস থাকতে পারে।
গত ২৩ জুলাই থেকে পুনরায় নিন্ম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র সীমিত পরিসরে কার্যক্রম চলে। তবে এর মাঝে আসামিদের জামিন শুনানী না হওয়ায় জামিনযোগ্য ধারায় অনেক আসামি কারাগারে রয়েছে।
হবিগঞ্জ কারাগারের জেলার জয়নাল আবেদীন ভূইয়া জানান, কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৫ শতাধিক। কিন্তু বর্তমানে আসামি রয়েছেন ১১৫৫ জন। নিন্ম আদালত বন্ধ থাকার ফলে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
হবিগঞ্জ জজ কোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবি জানান, নিন্ম আদালত কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে অনেক জামিনযোগ্য আসামি বিনা অপরাধে হাজত কাটছেন। তবে অনেক সময় দেখা যায়, আসামি যেদিন ধরে আনা হয় সেদিন জামিনযোগ্য অপরাধে আসামি জামিন চাইলে জামিন দেয়া হয়। এতেও নানান ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। অনেক সময় কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত জিআরও/ননজিআরকে ম্যানেজ না করলে আসামিদের জামিন হয় না। তাছাড়া আসামি কারাগারে গেলে পরের দিন জামিন চাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। এ কেমন নিয়ম। তারা এ নিয়ম তুলে স্বাভাবিকভাবে আদালত পরিচালনার দাবি জানান।
অথচ শুধুমাত্র হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিসকেইস জামিন শুনানীর জন্য চালু রাখা হয়েছে। এতে আসামিদের তেমন একটা জামিন চাওয়া হয়নি। নিন্ম আদালতেই বেশি আসামি শুনানী হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবুল মনসুর জানান, নিন্ম আদালত বন্ধ থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে এবং তিনি বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার অনুরোধ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে যেদিন আসামি পুলিশ ধৃত করে সেদিনই জামিনযোগ্য হলে শুনানী হয়। কারগারে গেলে হয় না। তাছাড়া মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ সকলকেই মানতে হবে।