• সারাদেশ

    সুনামগঞ্জের বেরীগাঁওয়ে স্ত্রীর পরকিয়ায় বাধাঁ দেয়ার কারণে স্বামীকে বিষপানে হত্যা্র অভিযোগ

      প্রতিনিধি ২৫ আগস্ট ২০২১ , ৬:৩৫:৪৭ অনলাইন সংস্করণ

    কুলেন্দু শেখর দাস, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ স্ত্রীর পরকিয়ায় বাধাঁ দেয়ার কারণে স্ত্রী,শ্বশুর,শ্বাশুরি ও চাচা শ্বশুর মিলে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে ঘরজামাই বিল্লাল হোসেন (২৫)নামে এক যুবককে। নিহত যুবক সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের হালুয়ারগাঁও গ্রামের মো. সুলতান মিয়ার ছেলে। বুধবার ভোরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিল্লাল। স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,নিহত বিল্লাল প্রায় ৮ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের বেরীগাঁও (কৃষ্ণতলা) গ্রামের মো. আব্দুস সালামের মেয়ে ফাতেমা বেগমের সাথে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের পর বিল্লাল ও ফাতেমার দাম্পত্য জীবন কিছুদিন ভালভাবে চললে ও গত প্রায় একমাস ধরে বিল্লালের অগোচরে তার সহধর্মিনী ফাতেমা বেগম পাশ্ববর্তী তাহিরপুরের বড়ছড়া এলাকাে মো. জাবেদ মিয়া নাকে এক ট্রাক্টর চালকের সাথে পরকিয়া(অবৈধ সম্পর্ক)’য় জড়িয়ে পড়েন। বিল্লাল বিয়ের পর থেকে বেরীগাওঁ গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে থাকলেও পরবর্তীতে তার উপাজর্নের টাকা দিয়ে শ্বশুর বাড়ির পাশে ৬ শতক বসতভিটার জায়গা খরিদ করেন। তাছাড়া বিল্লাল অন্যর বাড়িতে কাজ করে তার কষ্টার্জিত ৬ লাখ টাকা তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের মাধ্যমে তার শ^শুর মো. আব্দুস সালামের হাতে তুলে দেন। বিল্লাল পরিশ্রম করে ইতিমধ্যে একটি বসতবাড়ি খরিদ করেন এবং দুটি গরু ও ৬ লাখ টাকা নগদ শ্বশুর মো. আব্দুস সালামের হাতে তুলে দেন। বিল্লালের এই কেনা বাড়ি,নগদ টাকা ২টি গরু আত্মাসাধ করার অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী,শ্বশুর শ্বাশুরি ও চাচা শ্বিশুর মানিক মিয়া মিলে বিল্লালকে পানির সাথে বিষ মিশ্রিত করে খাওয়ানো ফলে তার মৃত্যু হয় বলে বিল্লালের পিতা সুলতান মিয়া,তার চাচা মো. আব্দুর রহমান ও বিল্লালের সৎ বড়ভাই মো. মধু মিয়া জানান। বিল্লাল ও ফাতেমার দাম্পত্য জীবন এভাবে কিছুদিন চলার এক পর্যায়ে স্ত্রী ফাতেমা বেগম বেরীগাওঁ গ্রামের এক পরপূরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি বিল্লালের নজরে আসলে সে প্রতিবাদ করলেই তার উপর চলত স্ত্রী ফাতেমা বেগম,শ্বশুর মো. আব্দুস সালাম,শ্বাশুরি সুফিয়া বেগম ও চাচা শ্বশুর মো. মানিক মিয়ার অমানসিক নির্যাতন। এভাবে চলতে থাকে বিল্লালের উপর অত্যাচার আর নির্যাতনের স্ট্রীমরোলার। এ ব্যাপারে নিহত বিল্লালের সৎ বড়ভাই মো. মধু মিয়া বলেন,আমার ছোটভাই বিল্লালকে তার জায়গা জমি টাকা পয়সা আত্মসাধ করার পাশাপাশি বিল্লালের বউ ফাতেমা বেগমের পরকিয়ার কারণে বিল্লালকে বিষ পান করিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবী করেন। এ ব্যাপারে নিহত বিল্লালের পিতা মো. সুলতার মিয়া জানান,তার ছেলে বেরীগাওঁ গ্রামের মো. আব্দুস সালমের মেয়ে ফাতেমা বেগমকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করছিল। ছেলের বউ অন্যত্র এক যুবকের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। আমার ছেলে বিল্লাল এতে বাধাঁ প্রদান করাই ছিল ছেলের মৃত্যুর কারণ। কিন্তু আমার ছেলের কষ্টার্জিত রোজগারের নগদ ৬ লাখ টাকা,বসতবাড়ি এবং দুটি গরু তার শ^শুর মো. আব্দুস সালাম ও ছেলের বউ ফাতেমা বেগম আত্মসাধ করার জন্যই ছেলের বউ শ্বশুর,শ্বাশুরি,ও চাচা শ্বশুর মানিক মিয়া মিলে পানির সাথে বিষ মিশিয়ে বিল্লালকে খাওয়াইয়া হত্যা করেছে। তিনি বিষয়টি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি দাবী জানান। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুর রহমান ঘটনার খবর শুনে তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসেন। তবে কেহ অভিযোগ নিয়ে আসলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content