প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২১ , ৮:৩৫:২৫ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল,বিশেষ প্রতিনিধিঃ করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কার্যক্রম (ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন)। সিলেট জেলা ও মহানগরে ১৮১টি কেন্দ্রের ৩৮১টি বুথে চলছে এ ক্যাম্পেইন।
আজ শনিবার সকাল ৯টায় সিলেটে গণটিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। নগরীর চৌহাট্টাস্থ রেড ক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে ঢাকা থেকে যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেয়া হবে বলে জানান।
সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সূত্র জানিয়েছে, সিলেট জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৩৮১টি বুথে গণটিকাদান কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে মহানগরীতে ২৭টি ওয়ার্ডে তিনটি করে ৮১টি কেন্দ্র রয়েছে। অন্যদিকে জেলার ১৩টি উপজেলায় ১০০টি কেন্দ্রে তিনটি করে ৩০০টি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথে আজ ৩০০ জনকে টিকা প্রদানের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত বলেন, আজ শনিবার থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত সিলেটসহ সারা দেশে গণটিকার কার্যক্রম চলার কথা ছিল। তবে আপাতত শুধু আজ এ কার্যক্রম চলছে। তবে সিটি করপোরেশন এলাকায় কাল ও পরশু এ দুদিন কার্যক্রম চালানো হতে পারে।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, প্রতিটি বুথে দুজন করে দুজন করে টিকাদানকর্মী ও তিনজন করে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। আজ সিসিক এলাকায় আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২৪ হাজার ২শ জন মানুষকে টিকা প্রদান করা। সাথে টিকা গ্রহণের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশনও চলছে।
তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭, ৮ ও ৯ আগস্ট গণটিকাদান কার্যক্রম চালানো যাবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আমরা আগামী দুদিনও এ কার্যক্রম চালাবো। টিকাদানকেন্দ্র সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চালু রাখার কথা। কিন্তু প্রয়োজন হলে আমরা ৪টা, ৫টা অবধি কেন্দ্র খোলা রেখে টিকা দেব।’
গণটিকাদানের শুরুতে ‘কিছুটা ভুলভ্রান্তি ও অব্যবস্থাপনা হতে পারে’ মন্তব্য করে ডা. জাহিদ বিষয়টি ‘ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার’ আহবান জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, টিকা নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও সচল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে যেতে হবে। সেখানে তাৎক্ষণিক নিবন্ধন শেষে টিকা দেয়া হবে।