প্রতিনিধি ১৪ আগস্ট ২০২১ , ৬:৪২:৩১ অনলাইন সংস্করণ
স্থানীয় এক আইনপ্রণেতার বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, আফগান সরকার যদি এ তথ্য নিশ্চিত করে তাহলে এটিই হবে কাবুলের সবচেয়ে কাছে তালেবানের সর্বশেষ অবস্থান এবং রাজধানী থেকে বিদ্রোহীদের দূরে রাখার জন্য লড়াই করে আসা আফগান বাহিনীগুলোর জন্য আরেকটি ধাক্কা।
কাবুলের পতনের সম্ভাবনা এখন এত দ্রুত সামনে চলে এসেছে যে সেখান থেকে মার্কিন কূটনীতিক ও নাগরিকদের নিরাপদে তুলে নিয়ে যাবার জন্য তিন হাজার সৈন্য ‘সাময়িকভাবে’ আফগানিস্তানে পাঠিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
শুধু তাই নয়, মার্কিন পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে যে তাদের দূতাবাসটি বিমানবন্দরের মধ্যে বা কাছে কোথাও সরিয়ে নেয়া যায় কিনা- সে বিকল্পটিও আলোচনা করেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, তালেবান যেন কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে হামলা না চালায় সে জন্য মার্কিন আলোচকরা এর মধ্যেই তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
ভারতের চ্যানেল সিএনএন১৮ বলছে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তালেবানের সঙ্গে জরুরি যুদ্ধবিরতি চাচ্ছেন। এই যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করতে পারেন তিনি।
সূত্র জানিয়েছে, টেলিভিশনের জন্য যখন আশরাফ গনির বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছিল তখন তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি তখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি। তবে শিগগিরই পদত্যাগ করে তিনি পরিবারসহ তৃতীয় কোনো দেশে চলে যেতে পারেন।
গত তিন দিন আগে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী খালিদ পায়েন্দা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, তালেবান আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ কাস্টমস দখল করে নেওয়ার পর পরিবার নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন তিনি। তবে আফগানিস্তানের সাবেক এই অর্থমন্ত্রী ঠিক কোন দেশে গেছেন সেটা জানা যায়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সর্বশেষ যে শহরগুলোর পতন হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কান্দাহার। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই শহর। সেখানকার এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, কান্দাহার থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের পর এ শহর তালেবানের দখলে চলে গেছে।