প্রতিনিধি ১৮ আগস্ট ২০২১ , ১০:০৮:৫২ অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহের ভালুকায় এক কিশোরী গার্মেন্টকর্মীকে যাত্রীবাহী বাসে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার ভিক্টিমের বড় বোন বাদি হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ বাসচালক ও তার দুই সহকারীসহ বাসটি আটক করে। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত ৯টার দিকে ভালুকা সিডস্টোর বাজার থেকে পূর্বপরিচয়ের সূত্রধরে ফুঁসলিয়ে কিশোরী মিল শ্রমিক ওই মেয়েকে ময়মনসিংহগামী মায়ের দোয়া পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে তুলে। পরবর্তীতে ওই কিশোরীকে নিয়ে বাসটি ময়মনসিংহ চুরখাই এলাকায় মহাসড়কের পাশে জনৈক কুদ্দুসের গ্যারেজের কাছে রাত ১০টার দিকে থামে এবং বাসের ভিতরে চালক মামুন (৩০), তার সহকারী রহিম (২৫) ও আশরাফুল (২২) সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে অসুস্থ অবস্থায় বাসচালক রহিম মিয়া ওই কিশোরীকে তাদের জামিরদিয়া এলাকায় লবণকোটা ভাড়া বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরবর্তীতে ওই ভিক্টিমের বড় বোন বাদি হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলোÑ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার হাছান আলীর ছেলে মামুন, একই উপজেলার বালুকজান গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আব্দুর রহিম ও ময়মনসিংহের চুরখাই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আশরাফুল আলম। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল ইসলাম জানান, কিশোরী ওই মেয়েটি স্থানীয় একটি গামের্ন্টে চাকরি করে। এ ঘটনায় আমরা তিন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করার পর দুই আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।