• করোনা ভাইরাস নিউজ

    ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের কাজে ধীরগতি

      প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২১ , ৭:৪৫:৩৬ অনলাইন সংস্করণ

    নবীন মাহমুদ, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকায় করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীদের ঝুঁকি না নিয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে রোগী ও স্বজনদের অতিরিক্ত খরচের পাশাপাশি পােহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

    অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি মেটাতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে তিন কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের কাজ পেয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সপেক্টা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

    ইতিমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে ৬ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার অক্সিজেন ট্যাংক। কিন্তু বর্তমানে ধীরগতিতে চলছে পাইপ স্থাপনের কাজ। শেষ পর্যায়ে এসে সামান্য কিছু কাজের অভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে সিলিন্ডার দিয়ে করোনা রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।

    এ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা করোনা রোগীর স্বজন আমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন না থাকায় অতিমাত্রার শ্বাসকষ্টের অনেক রোগীদের বরিশাল যেতে বলা হয়।

    আরেক রোগীর স্ত্রী শিমুল আক্তার বলেন, আমার রোগীর জন্য হাসপাতালের বাহির থেকে সেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার এনেছি।

    সদর হাসপাতালের সাধারন ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি থাকা রোগীর যতক্ষন পর্যন্ত রেপিড টেষ্ট রিপোর্ট পজেটিভ না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত সেই রোগীর বেডে অক্সিজেন সিলন্ডার দেয়া হয়না বলেও অভিযোগ করেছে অনেকে।

    ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট আবুয়াল হাসান বলেন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন না থাকায় চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

    এ বিষয়ে, নিউজবাংলার সাথে কথা হয় সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালীর সাথে। তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কাজের ধীরগতির বিষয়টা স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকেও জানানো হয়েছে।

    সিভিল সার্জন আরও বলেন, বর্তমানে এই প্লান্টে অক্সিজেন উৎপাদন চালু না থাকায় প্রতিদিন হাসপাতালের জন্য ২০টি বড় আকারের সিলিন্ডারে অক্সিজেন বরিশাল থেকে ভরে আনতে হচ্ছে।

    ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গোলাম মোর্শেদ বলেন, শিঘ্রই কাজ শেষ করা হবে। ১০ হাজার ৪৩৪ লি. ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই প্লান্টের কাজ শেষ হলে এর ট্যাংকিতে একবার লিকুইড ভরা হলে তা থেকে উৎপাদিত অক্সিজেন ১০০ জন রোগী তিন মাস ব্যবহার করতে পারবেন।

    আরও খবর

    Sponsered content