• জাতীয়

    জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যঃ সুপ্রিমকোর্টে আ.লীগ বিএনপি সমর্থকদের বিক্ষোভ

      প্রতিনিধি ৩০ আগস্ট ২০২১ , ৬:৩৭:০৮ অনলাইন সংস্করণ

    ছবিঃ সুপ্রিম কোর্ট

    মুক্তিযুদ্ধে সাবেক রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে পালটাপালটি সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। রোববার দুপুরে সমিতি ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এর আয়োজন করেন। প্রথমে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সমিতিতে নির্বাচিত বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সমিতির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিক উল্লাহর নেতৃত্বে সমিতি ভবনের এক নম্বর হলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সমিতিতে নির্বাচিত সরকার সমর্থক আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদক যখন সংবাদ সম্মেলন করেন, তখন তার কক্ষের বাইরে সভাপতির কক্ষের সামনে দুই পক্ষের আইনজীবীরা পালটাপালটি বিক্ষোভ করেন।

    বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের সংবাদ সম্মেলন : সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অসামান্য অবদান একটি মীমাংসিত সত্য। ১৯৭১ সালে দিশেহারা এ জাতির ক্রান্তিকালে তৎকালীন মেজর জিয়া যদি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করতেন এবং চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন, তাহলে আজকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতো কি না, সেটাই যেখানে প্রশ্ন, সেখানে মুক্তিযুদ্ধকালে রণাঙ্গনে শহিদ জিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন উত্থাপন মুক্তিযুদ্ধের প্রতি চরম অবমাননার শামিল। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সরকার একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যে সাহসিকতা ও ভূমিকা রেখেছিলেন তার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘বীর-উত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের মতো এমন একজন বীর সেনানী এবং সফল রাষ্ট্রনায়ক সম্পর্কে তার চরিত্রে কালিমালেপনের যে অপচেষ্টা অতিসম্প্রতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে করা হয়েছে, সেটি অত্যন্ত বিভ্রান্তিমূলক এবং ইতিহাসের মীমাংসিত সত্যের বিকৃতি।

    সরকার সমর্থক আইনজীবীদের পালটা সংবাদ সম্মেলন : লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিক উল্লাহ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও জিয়াউর রহমানসহ কিছু ব্যক্তি পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে কনফেডারেশন করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় বঙ্গবন্ধু যখন দেশ গড়ার কাজে ব্যস্ত, তখন জিয়াউর রহমান দেশে অরাজক সৃষ্টিকারী গণবাহিনী ও সর্বহারা বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী সৈনিক জিয়া ও মোশতাকের ষড়যন্ত্র সফল করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

    তিনি বলেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী খুনি জিয়াউর রহমান সামরিক বাহিনীতে গুপ্তহত্যা, রাজনীতিবিদ হত্যাসহ এমন কোনো কর্মকাণ্ড নেই যা করেনি। তিনি সমিতির সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলনের নিন্দা জানিয়ে বলেন, সুপ্রিমকোর্ট বারকে (সমিতি) দলীয় প্ল্যাটফরম হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

    আরও খবর

    Sponsered content