প্রতিনিধি ২৯ আগস্ট ২০২১ , ১২:৩৫:২৪ অনলাইন সংস্করণ
হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর ( সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুর – পাগলা সড়কের নির্মাণধীন ব্রীজ গুলোর পার্শ্ববর্তী বিকল্প সড়ক গুলোতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রায় অনুপোযোগী পড়েছে। তবো জীবন -জীবিকার তাগিদে হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে চলাচল করছেন এবং পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে। যেকোনো মুহুর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
২৯ শে জুলাই রোজ রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর -পাগলা সড়কের নাদামপুর, দাড়াখাই, কোন্দানালা ও আক্তাপাড়া ব্রীজের নির্মাণ কাজ চলায় ব্রীজ পার্শ্ববর্তী বিকল্প রাস্তা এবং খাশিলা ব্রীজের এপ্রোচের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যানবাহন চলাচলে সড়কটি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জীবন জীবিকার তাগিদে জগন্নাথপুর উপজেলাবাসী সহ ছাতক ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে এই সড়ক দিয়ে জেলা শহর সুনামগঞ্জ, বিভাগীয় শহর সিলেট ও রাজধানী শহর ঢাকায় যাতায়াত করছেন। ভাঙা -ছোড়া রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করার ফলে যানবাহনের চাকার চাপে গর্তের কাদা পানি ছিটকে পথচারীদের গায়ে পড়ার পাশাু অহরহ ছোট -খাটে দুর্ঘটনা ঘটছে। এমনকি যেকোনো মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা রয়েছে। বিদায় জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার লক্ষে এই সড়ক এর বিকল্প রাস্তা গুলো অনতিবিলম্বে সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি কামনা করেছেন অত্র এলাকার সচেতন মহল।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী ব্রাক কর্মী তৌহিদুল ইসলাম ও যানবাহন চালক সায়েক সহ একাধিক যাত্রী ও চালক এ ব্যাপারে তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, এই সড়ক এর বিকল্প রাস্তা গুলো এ্যাপ্রোচের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাদা পানিতে একাকার হয়ে যাওয়ায় প্রায় সময়ই ছোট ছোট দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, জীবন জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। কখন জানি কি হয়। একমাত্র আল্লাহ ভরসা। ভাঙা ছোড়া সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্ট কামনা করছি।
এবিষয়ে এই সড়ক ও ব্রীজ গুলো নির্মাণ কাজ এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স এর নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, বৃষ্টি -বাদলে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চার/পাঁচ দিনের মধ্যে সংস্কার কাজ করা হবে ।