• সারাদেশ

    কাশ্মীরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামির কার্যালয়ে ব্যাপক তল্লাশি

      প্রতিনিধি ৯ আগস্ট ২০২১ , ১০:৫৫:২৪ অনলাইন সংস্করণ

    ছবি সংগৃহীত

    ভারত-শাসিত কাশ্মীরের চল্লিশটিরও বেশি জায়গায় রোববার সকাল থেকে জামায়াতে ইসলামির নেতাকর্মীদের বাসভবন ও  কার্যালয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ।

    প্রায় আড়াই বছর আগেই কাশ্মীরে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষিত করা হয়েছে, এই সংগঠনটি কাশ্মীরের কোনো নির্বাচনেও কখন পর্যন্ত অংশ নেয়নি।

    এই পটভূমিতে এখন কাশ্মীরে জামায়াতে ইসলামির প্রভাব ঠিক কোথায় আর কতটা, তা নিয়ে রীতিমতো দ্বিমত আছে।

    রোববার সকাল থেকেই কাশ্মীর উপত্যকার অনন্তনাগ ও শোপিয়ান এবং জম্মুর ডোডা, কিশতওয়ার, রামবান ও রাজৌরি জেলার বিভিন্ন এলাকায় একযোগে হানা দেয় এনআইএর অনেকগুলো দল।

    ভারতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তদন্তে সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই সংস্থাটি জানায়, কাশ্মীরে জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জঙ্গি কার্যকলাপে সরাসরি অর্থ জোগাচ্ছেন ও মদত দিচ্ছেন- নির্দিষ্ট এই অভিযোগের ব্যাপারে তারা মাসকয়েক আগে থেকেই যে তদন্ত শুরু করেছে এই অভিযান তারই অংশ।

    কিন্তু ২০১৯ সালে পুলওয়ামাতে জঙ্গি হামলার পরই কাশ্মীরে যে জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

    কাশ্মীরে জামায়াতের কর্মকান্ড নিয়ে বহুদিন ধরে গবেষণা করেছেন ও ‘কে-ফাইলস’ নামে একটি অনুসন্ধানী বই-ও লিখেছেন বশির আসাদ।

    তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সংগঠন হিসেবে ততোটা নয়- কিন্তু জামায়াতকে নিয়ে মূল ভয়ের জায়গাটা হল তারা যে আদর্শটা প্রচার করে।

    কাশ্মীরে একটা আদর্শিক যুদ্ধ চলছে আমরা সবাই জানি, আর সেখানে বৈশ্বিক জিহাদী কার্যক্রমের ভাবধারার সবচেয়ে বড় প্রচারক জামায়াতিরাই।

    ভারতের মূল ভূখন্ডে জামায়াতে ইসলামি হিন্দ কিন্তু দেশের রাজনীতির মূল ধারায় মিশে গেছে – কিন্তু মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে বাস্তবতা আলাদা, সেখানে জামায়াত অনায়াসে খিলাফতের ভাবধারা প্রচার করে চলেছে।

    কিন্তু যে সংগঠনটি কাশ্মীরের রাজনীতিতেই নেই, কোনও ভোটেও কখনও অংশ নেয়নি – তাদের প্রচারের মাধ্যমটা কী?

    বশির আসাদ বজানান, মসজিদ থেকে নয়- কাশ্মীরে জামায়াত তাদের আদর্শ প্রচার করে থাকে সংগঠনের পরিচালিত স্কুলগুলো থেকে।

    শুধু কাশ্মীর ভ্যালিতেই জামায়াতের পরিচালিত স্কুলের সংখ্যা ১০ হাজার দুশোরও বেশি। যে সব দুর্গম জায়গায় সরকারি স্কুলের অস্তিত্ত্ব পর্যন্ত নেই, সেখানেও জামায়াতের স্কুল আছে।

    আর এগুলো মাদ্রাসা ধাঁচের নয় – বরং সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা-সম্পন্ন স্কুল, সরকারি কর্মকর্তা বা আমলারাও তাদের ছেলেমেয়েদের এই সব স্কুলে পাঠাতে পছন্দ করেন।

    তবে, কাশ্মীর ইউনিভার্সিটির প্রবীণ অধ্যাপক ও অ্যাক্টিভিস্ট হামিদা বানু মনে করেন, কাশ্মীরে জামায়াতে ইসলামির প্রভাবকে একটু বেশিই ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছে।

    সূত্রঃ নয়াদিগন্ত

    আরও খবর

    Sponsered content