প্রতিনিধি ২৯ আগস্ট ২০২১ , ৭:৩৮:১২ অনলাইন সংস্করণ
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট দেশের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের বিশেষমর্যাদা কেড়ে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের গেরুয়া বিজেপি সরকার। একইসাথে জম্মু ও কাশ্মিরকে ভেঙে দেয়া হয়েছিল দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। একটি জম্মু ও কাশ্মির, অপরটি লাদাখ। তারপর দু’বছর চলে গেছে। একাধিকবার রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি উঠেছে কাশ্মিরে। উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলো জোটবেঁধে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। ওই তুলনায় এতদিন শান্ত ছিল লাদাখ এলাকা। কিন্তু এবার সেটাও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ালো মোদি সরকারের জন্য।
মটামুটিভাবে লাদাখের সব রাজনৈতিক দল (বিজেপি ছাড়া) ও বেশ কয়েকটি স্থানীয় সংগঠন একযোগে পৃথক রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। ঠিক যে সময় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা লাদাখ সফরে, তখনই এই বিক্ষোভ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরো তাৎপর্যপূর্ণভাবে লাদাখ ও লেহর পরস্পরবিরোধী একাধিক সংগঠন এক ছাতার তলায় এসে আন্দোলন শুরু করেছে। শনিবারের অবরোধে স্থানীয়রাও ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের সাথে বৈঠকে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেয়ার পাশাপাশি সেখানকার নাগরিকদের সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিল অনুযায়ী আলাদা গুরুত্ব দিতে হবে। লেহ ও কার্গিলের জন্য আলাদা লোকসভা কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। লাদাখে নতুন করে শুরু হওয়া রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন চিন্তা বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের।
সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ