প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২১ , ৭:৩৮:৪১ অনলাইন সংস্করণ
কে এম শহীদুল ইসলাম সুনামগঞ্জঃ সুনামগঞ্জ ধোপাজান চলতি নদীতে চলছে বালু পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। দিনের বেলা ছোট ছোট কাঠের নৌকা দিয়ে বালুও পাথর নিয়ে যায় কিছু অসহায় মানুষ। অনেক অসহায় ও গরিব শ্রমিকেরা পেটের দায়ে বালু পাথর উত্তোলন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন।রাতের আধারে একটি সিন্ডিকেট নির্ধীদায় চালাচ্ছেন তাদের ড্রেজার মেশিনের তান্ডবলীলা।
কাইয়েরগাও ও আদাং নদীরপাড় হতে ড্রেজার মেশিন চালিয়ে বড় বড় বাল্কহেড নৌকা লুড করে প্রতিনিয়ত এবং রাতের মধ্যে লুড করে তারাহুড়া করে নিয়ে যায় দুর্লভপুর, জামালগঞ্জ ও অন্যান্য জায়গায় সেখানে গিয়ে আনলোড করে বালু ও পাথর।
দিনের বেলা দেখতে গেলে দেখা যায় নদীতে শুধু কাঠের নৌকা(পংগপাল) চলে। মাঝে মধ্যে ঐ সমস্ত ছোট ছোট কাঠের নৌকার উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
অন্যদিকে প্রত্যেক রাতে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা অধিকাংশ বড় বড় নৌকা আটক হয়না, । হয়না তাদের জেল জরিমানা।স্থানীয়রা,সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এলাকার নদী ইজারাবিহীন হওয়ায় নদীতে বালু পাথর উত্তোলন করা বন্ধ রয়েছে। আমরা আমাদের ছোট ছোট নৌকা নিয়ে সিলেটের নদী কোম্পানিগঞ্জ এবং ফাজিলপুর নদীতে নৌকা চালানোর জন্য যায়। ওইসব নদীতে ডাকাতদের ভয়ে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে পড়তে হয় এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতিকে উপেক্ষা করে আমাদের নৌকা চালাতে হয়। আমাদের এলাকার নদী ধোপাজানে আমরা আমাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কোন সুযোগ পাচ্ছিনা। কয়েকজনে সিন্ডিকেট সাজিয়ে রাতের আধারে বালু পাথর নৌকায় লোড করে অন্য এলাকায় বিক্রি করে আসছেন। প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুল আবেদন নদীটাকে কয়েকজনের কাছে জিম্মি না রেখে এলাকার অসহায় ও সকল ধরনের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হউক।
যানা যায় , এই সিন্ডিকেটটি প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যাক্তিদের মেনেজ করে রাতের আধারে ৫০/৬০ টি নৌকা লুড করে আসছে প্রতি নিয়ত। সদর থানার কাইয়েরগাও ও বিশ্বম্ভরপুর থানার আদাং নদীতে চলছে বালু পাথর উত্তোলন। জনগণের প্রশ্ন হলো সিন্ডিকেটের কাছে প্রশাসন কি জিম্মি, নাকি সবাই এক হয়ে ধোপাজান লুটেপুটে খাচ্ছেন এমনটি জানান সাধারণ মানুষ।
একাধিক সূত্রে জানায়, ধোপাজান চলতি নদীর মুখে সদর থানা পুলিশের টহল, জিনারপুর বাজারে বিশ্বম্ভপুর থানা পুলিশের টহল, ডিবি পুলিশের টহল, টুকের বাজারে নৌ পুলিশের ফাঁড়ি এবং প্রশাসনের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা থাকা সত্তেও কীভাবে প্রতিনিয়ত রাতের আধাাঁরে বড় বড় বাল্কহেড নৌকা ও ড্রেজার মেশিন চলে সেটাই এখন রীতিমতো সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
এব্যাপারে, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ধোপাজান চলতি নদীতে অবৈধ বালু পাথর উত্তোলনে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন বলে যানা যায়।