• অনিয়ম / দুর্নীতি

    ২০০০ কোটি টাকা লুট: পিকে হালদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ৩০ মামলা প্রস্তুত, আসামির তালিকায় ৭৫জনের নাম

      প্রতিনিধি ২২ জুলাই ২০২১ , ১:৫৩:৪৪ অনলাইন সংস্করণ

    আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও এফএএস লিজিং থেকে ২০০০ কোটি টাকা লুটের ঘটনায় আরও ৩০টি মামলা হচ্ছে। কিছু কাগুজে প্রতিষ্ঠানের ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে এ লুটপাট চালানো হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শিগগিরই এসব মামলা করতে যাচ্ছে। প্রতিটি মামলায় পিকে হালদারসহ ৭৫ জনকে আসামি করা হচ্ছে। এ তালিকার শীর্ষে আছেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ১০ পরিচালক, এফএএসের ১০ পরিচালক, পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ ৪ বান্ধবীসহ ১২ আত্মীয়।

    এছাড়া এফএএসের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম, মনিরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল শাহরিয়ার, পরিচালক মো. আবু শাহাজাদা, সোমা ঘোষ, অরুন কুমার কুন্ডু, পওদীপ কুমার রায়, বিরেন্দ্র কুমার সোম ও আতারুল আলম এবং পিএনএল ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান উদ্ভব মল্লিকের নাম আছে আসামির তালিকায়।

    দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান পিকে হালদারসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলার সুপারিশ করে কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা লুট করা হয়। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের মালিকানাধীন আরও প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান এবং এফএএস ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পিপলস লিজিং থেকে একই কায়দায় আরও প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

    এফএএস ফাইন্যান্স থেকে প্রায় ২২০০ কোটি টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে ২৫০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ নেই। ফলে ঋণ পরিশোধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    সূত্র জানায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও এফএএস ফাইন্যান্সের প্রায় ৩০টি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে মর্টগেজ ছাড়াই প্রায় ২০০০ কোটি টাকা জালিয়াতি পূর্ণ ঋণ প্রদানের রেকর্ড পেয়েছে দুদক। আরবি এন্টারপ্রাইজ, জিএন্ডজি এন্টারপ্রাইজ, তামিম অ্যান্ড তালহা এন্টারপ্রাইজ, ক্রসরোড করপোরেশন, মেরিন ট্রাস্ট, নিউটেক, এমএসটি মেরিন, গ্রীন লাইন ডেভেলমেন্ট ও মেসার্স বর্ণসহ প্রায় ৩০টির মতো অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে ভিন্ন খাতে এ অর্থ বের করে নেয়া হয়েছে।

    পিকে হালদার, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, এমডিসহ প্রায় ৭৫ জনকে আসামি করে আরও ৩০টি মামলা হতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়। সূত্র জানায়, পিকে হালদার সিংগাপুর, ভারত এবং কানাডায় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন। কানাডার টরেন্টোতে মার্কেট কিনেছেন, বিলাসবহুল বাড়ি ক্রয় করেছেন।

    এদিকে, আবারও চালু হতে যাচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএসএল)। প্রতিষ্ঠানটি পুনরুজ্জীবিত করতে ১০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসাবে সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামাল-উল আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    যুগান্তর

    আরও খবর

    Sponsered content