প্রতিনিধি ২৬ জুলাই ২০২১ , ১২:৩১:১৫ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: বিআইডব্লিউটি’র নামে বেপরোয়া চাদাঁবাজি শিরোনামে গত ১৫ই জুলাই সুনামগজ্ঞের স্থানীয় দুটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে । এই সংবাদের একটি অংশে রনি,তোফাজ্জল, অলিউর, তারেক, রিপনও রশিদসহ সংঙ্গবদ্ধ চক্র চাদাঁবাজি করছে উল্লেখ করা হয়েছে। উত্ত সংবাদের বিন্নমত প্রকাশ করেছেন ইজারাদার।
প্রকৃতপক্ষে আমি আশরাফুজ্জামান (রনি) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন বিআইডব্লিউটি”র কর্তৃপক্ষের একজন বৈধ ইজারাদার। গত ২৭/৬/২০২১ইং তারিখে (নথি নং-১৮.১১.১৩৩২.০৭৯.০২.০৩৫.২১) আবুয়া ও রক্তিনদী- ১৫৫৬, আশুগঞ্জ ভৈরব-বাজার নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রানাধীণ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার আবুয়া ও রক্তিনদীর সংযোগ-স্থল হতে লাউড়েরগড় পর্যন্ত এলাকায় নদীর উভয় তীরে নৌ-যানের উঠা নামাকৃত মালামালের শুল্ক ও বাদিং চার্জ আদায় কেন্দ্র’/ ঘাট পয়েন্টির বিপরীতে ২০২১-২০২২ইং অর্থ বছরের ইজারাদার কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে আমাকে।
২০২১-২২ইং অর্থ বছরের পহেলা জুলাই হতে ৩০জুন ২০২২ইং পর্যন্ত এক বছর সময়ের জন্য ইজারাদার নিমিত্ত ১৫ই জুন ২০২১খ্রিঃ তারিখে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা টেন্ডারে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৭২ লক্ষ টাকা টাকা প্রদান করে আমি ইজারাপ্রাপ্ত হই। পরে সম্পূর্ণ ইজারামূল্য বাবদ ৭২ লক্ষ টাকা, ৫শতাংশ আয়কর বাবদ ৩লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, ১৫ শতাংশ মূসক বাবদ ১০লক্ষ ৮০ হাজার টাকাসহ মোট ৮৬লক্ষ ৪০ হাজার টাকা-পে অর্ডারের মাধ্যমে কতৃপক্ষের অনুকুলে পরিশোধ করে এই ইজারা পয়েন্টে গত পহেলা জুলাই থেকে বৈধভাবে সরকারের নির্ধারিত হারে শুল্ক ও বাদিং চার্জ আদায় করছি। এখানে চাঁদাবাজির কোন ঘটনা ঘটেনি। এই শুল্ক আদায়কে চাঁদাবাজি বলা আইনসঙ্গত হবেনা । এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক,পুলিশসুপার,সংশ্লিষ্ট দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিআইডব্লিউটি”র পক্ষ থেকে ইজারা অনুলিপি প্রদান করে ইজারাদারকে সহায়তা করার জন্য ইতি মধ্যে অনুরোধ করা হয়েছে।
এই শুল্ক আদায়কে চাঁদাবাজি বলা হলে সরকারের কোষাগারে অর্থ দিয়ে কেউ ইজারা গ্রহন করবেনা। এই স্থানটিতে এর আগেও একই কতৃপক্ষের নিকট থেকে ইজারা গ্রহন করে শুল্কআদায় করা হয়েছিল। এখানে শুল্ক দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাহিরপুরের লাউড়েরগড়সহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা যে শুল্ক দিচ্ছেন,সেটাকে কি বলা হবে? যারা এখানে চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে আবেদ করেছেন উল্লেখ করা হয়েছে? তারা আসলে প্রকৃত ব্যবসায়ী নয়। কোন একটি পক্ষ অন্যায় সুবিদা না পেয়ে আমাকে ব্যবসায়ীক ভাাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য এই আবেদন করিয়েছে বলে আমি মনে করি। সংবাদটি যারা প্রকাশ করেছেন? তারা আমাকে চাদঁবাজ বলার আগে আমার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেননি? আমার কোন বক্তব্য সংবাদে যুক্ত করেননি? যা সংবাদে থাকা জরুরী ছিল। ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ ছাপা হলে আমার আইনের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া অন্য পথ থাকবেনা।
ইজারাদার- আশরাফুজ্জামান (রনি)
পিতা-আবুল বাসার
নিলয়- ৭৩/৩
নতুনপাড়া,পূর্ব তেঘরিয়া
ডাকঘর- সুনামগঞ্জ সদর
উপজেলা সদর জেলা সুনামগঞ্জ।