প্রতিনিধি ২৩ জুলাই ২০২১ , ৯:৩৩:০৬ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিনিয়ত বাড়ছে চুরির ঘটনা। আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে কিন্তু কূলকিনারা নেই কোনো ঘটনারই, এতে পৌরবাসী আতঙ্কের মধ্যে প্রতিটি রাত কাটাছে। পৌর সদরে মাদকের ব্যবসা ও একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের নজরদারি ও তেমন উদ্যোগ নেই বলেই বারবার দুঃসাহসিক চুরি হচ্ছে অভিমত সচেতন নাগরিক ও ভুক্তভোগীদের।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে- চলতি মাসে দিরাই শহরের বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা হলেও পুলিশ মালামাল উদ্ধার ও প্রকৃত চোরকে চিহ্নিত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের আরামবাগ এলাকায় গত এক মাসে ১০ থেকে ২০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দিরাই বাজার, মজলিসপুর, আরামবাগসহ পৌর এলাকার কয়েকটি গ্রাম ও দিরাই উপজেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় এমন চুরির ঘটনা ঘটছে।
পৌর শহরের বেশ কয়েক জন ভুক্তভোগী জানান থানার সামনে শহরের সবচেয়ে সুরক্ষিত এলাকায় চুরির ঘটনা সবাইকে বিস্মিত করেছে। মনে হয় চোরেরা পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করেছে। গত এক দশকে এক মাসে এত বেশি চুরির ঘটনা ঘটেনি।
এতে শহরবাসী ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
একজন ব্যবসায়ী বলেন- দিরাই থানা পুলিশের বিশেষ টহল জোরদার করতে হবে এবং মাদকের অবাধ ক্রয়বিক্রয় এবং অফলাইন ও অনলাইন ভিত্তিক জোয়া খেলা বন্ধ করতে হবে তাহলেই পৌর সদরে চুরি-ডাকাতি কমতে পারে।