প্রতিনিধি ৫ জুলাই ২০২১ , ১১:০১:৫২ অনলাইন সংস্করণ
মাহমুদ আহসান হাবিব॥ দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও। এ জেলার ৫টি উপজেলার ৪টিই সীমান্ত ঘেষা। এখানে দিন দিন যেমন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর তালিকা । শহর জুরে করোনা শনাক্ত হচ্ছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশেরও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতাল গুলোতেও বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর চাপ।
করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়েও চলছে ৭দিনের কঠোর লকডাউন । কিন্তু লকডাউনে বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক পরছেন না। দোকানপাট, কাঁচাবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউই। কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। শহরে ঢিলেঢালাভাবেই পার হচ্ছে সাত দিনের লকডাউনের ৫ম দিন।
গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৩৮৬৫ জন, যাদের মধ্যে ২৩৬৭ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের।
শহরের কালীবাড়ি বাজারের মাছের পাইকারি আড়ত, মাংসের দোকান ও সাধারণ পাঠাগারের আমের বাজারে লোকজনের সমাগম দেখা গেছে । এছাড়াও কালিবাড়ি বাজারে বিভিন্ন দোকানগুলোতে মানুষকে গাদাগাদি করে বিভিন্ন পন্য ক্রয় করতে দেখা গেছে। লকডাউন ঘোষিত শহরের কালীবাড়ি মাছের আড়তে গাদাগাদি করে মাছ কিনছেন ক্রেতারা। মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে দু-একজন বলেন, “মাস্ক পকেটে আছে। বেশি ভিড় দেখলেই পড়বেন”। এসব দেখে মনে হচ্ছে কোন প্রকার করোনা নেই ঠাকুরগাঁওয়ে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। শহরের প্রধান সড়কে একাধিক স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কিন্তু তার পরেও অনেক মানুষ বাহিরে ঘুরাফেরা করছে। অনেক দোকান হাফ সাটার খুলে বিক্রয় করতে দেখা গেছে।
তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও দেখা মেলেনি জেলা প্রশাসক, এডিসি কিংবা এনডিসির মত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ।
জেলার সচেতন মহলের দাবী জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঠে থাকাটা এ অবস্থায় বেশ জরুরী। এমনটা হলে জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হত এবং প্রকৃত অর্থেই লকডাউন কার্যকর হত।
জেলা সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, করোনা সংক্রমণের আমাদেও যে হার তা উদ্বেগজনক। কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা না গেলে সংক্রমণের হার কমবে না। মহামারির এ দুঃসময়ে জেলাবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।