প্রতিনিধি ২ জুলাই ২০২১ , ১০:৫২:৩০ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুর এর ফার্মেসী গুলোতে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ এর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ঔষধ না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণ এ জাতীয় ঔষধ আছে বলে জানা গেছে।
জানাযায়, নাপা,ডুয়েট,এইস,ফাস্ট, এক্সেল ও পাইরিনল নামক প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট সর্দি -জ্বর ও গলা ব্যাথায় অতি কার্যকরী হওয়ায় এবং সহজে হাতের নাগালে পাওয়া যায় বলে সকল শ্রেনী পেশার লোকজন এই জাতীয় ট্যাবলেট বিশেষ করে নাপা ট্যাবলেট সেবন করে থাকেন। কিন্তু বিগত প্রায় দশ দিন ধরে প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট ও নাপা সিরাপ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার অধিকাংশ ফার্মেসীতে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। আজ ২ রা জুলাই সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার সহ উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থিত ফার্মেসীতে প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট ক্রয় করতে এসে জনসাধারণ এক ফার্মেসী হতে আরেক ফার্মেসীতে ঘুরেও নাপা ট্যাবলেট না পেয়ে এ জাতীয় অন্য ট্যাবলেট দু-একটি নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
হালকা সর্দি -জ্বরে আক্রান্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্যারাসিটামল জাতীয় নাপা সিরাপ ও নাপা ট্যাবলেট না পেয়ে এ জাতীয় অন্য ঔষধ সামান্য নিয়ে যাচ্ছি। কম খরচে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধে ভাল হওয়া যায়।
এ ব্যাপারে মিজান ফার্মেসীর মালিক ডাঃ মিজানুর রহমান সহ একাধিক ফার্মেসী ব্যবসায়ী বলেন, প্যারাসিটামল জাতীয় নাপা ট্যাবলেট ও বাচ্চাদের সিরাপ এক কথায় প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট এর কিছুটা গার্তি রয়েছে। প্রায় ১০ দিন ধরে ঔষধ কোম্পানি গুলো ট্যাবলেট সাপ্লাই দিচ্ছে না। হালকা সর্দি -জ্বর নিয়ে আাসা রোগীদের ঔষধ দিতে হিমশিম খাচ্ছি। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভদের নিকট ওয়ার্ডার করেছি। আশাবাদী আজকালের মধ্যে পেয়ে যাব।
এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে আলাপকালে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মধু সুধন ধর বলেন, প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। হাসপাতালে আসা হালকা সর্দি – জ্বরে আক্রান্তদের নিয়ম মাফিক দেওয়া হচ্ছে।