প্রতিনিধি ৯ জুলাই ২০২১ , ১০:৩৭:১৪ অনলাইন সংস্করণ
কে এম শহীদুল ইসলাম সুনামগঞ্জ থেকে:
আফরোজা তালুকদার, করোনা কোভিড-১৯ এর এক বীর যোদ্ধার নাম। যার মধ্যে রয়েছে দেশপ্রেম । রয়েছে দেশের মানুষকে ভালবাসার এক অফুরন্ত স্বপ্ন। রয়েছে মানবতায় ও বুকভরা ভালবাসা মানুষের জন্য। যিনি প্রতিনিয়ত দেশের মানুষকে বাচাতেঁ কোভিড-১৯ ভাইরাসের শুরু থেকে দেশের মানুষকে সচেতন করতে বেছে নিয়েছেন এক নতুন স্বপ্নীল অধ্যায় । তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তর করতে দেশ ও মানুষের মাঝে দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত ভাল বাসার এক স্বপ্নীল চিঠি। যে চিঠি পড়ে প্রতিদিন মানুষ সচেতন হচ্ছে যা একজন বীর যোদ্ধার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মানুষের অন্তরালে। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে সরকার বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহন করেছেন যে গুলি বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্যকর্মীরা ও প্রশাসনের প্রতিটি নাগরিক দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন কারও না কারও নির্দেশে। সরকারের নির্দেশ পালণ করে যাচ্ছেন দেশের বীর সৈনিকেরা দিনরাত লকডাউন ও সচেতন মুলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে। এরই মধ্যে সরকারের পাশাপাশি নিরবে কারও নির্দেশ ছাড়াই দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আফরোজা তালুকদার কি অবদান রাখছেন সেটা কি কারও নজরে পড়ছে?
নাকি পড়ছেনা? প্রতিদিন একটি করে রঙ্গিন চিঠি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফেইসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে দেখা যাচ্ছে নিয়মিত। যার মধ্যে লিখা রয়েছে করোনা কোভিড-১৯ এর প্রতিদিনের সঠিক তথ্য? তিনি কেন দিচ্ছেন এই চিঠি ? কি চান তিনি? যে কাজটি করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয় হিমসিম খাচ্ছেন প্রতিদিন সেই কাজটি খুব সহজে জাতির কাছে তুলে ধরছেন সাবলীল ভাষায় একটি চিঠির মাধ্যমে। আফরোজা তালুকদারের এই অবদান কি জাতি মনে রাখবে? করোনা ভাইরাস হয়তো পৃথিবী থেকে একদিন বিদায় নিবে? দেশ ও জাতি এই কঠিন সময়ে ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবে? হয়ত সম্পূর্ণরুপে করোনা মুক্তি নাও পেতে পারে , তবে এই সময়ে অনেকে বাচবেঁ আবার অনেক পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে? এই কঠিন সময়ে আফরোজা তালুকদার জাতিকে দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত বুকভরা ভালবাসা। একজন করোনা যোদ্ধা হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য তার লিখুনির মাধ্যমে। সচেতন করে যাচ্ছেন দেশের মানুষকে তার স্বপ্নীল চলমান অগ্রযাত্রায় প্রতিদিন একটি রঙ্গিন চিঠির মাধ্যমে। আমার গৌরব ফাউন্ডেশনের ব্যানারে সঠিক তথ্য তুলে দিচ্ছেন নিরবে প্রতিদিন জনগনের সামনে। যা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নিউজের চেয়ে সহজ ভাষায় দেশের মানুষ জানতে পারছে প্রতিনিয়ত আফরোজা তালুকদারের পাঠানো তথ্য থেকে। কে এই আফরোজা তালুকদার কি তার পরিচয়? এমন প্রশ্ন আমার মত অনেকেই জানতে চান। আফরোজা তালুকদারের মত এক করোনা যোদ্ধার পরিচয়। তিনি একজন বাংলাদেশের নাগরিক, যার জন্ম হয় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার বৌলতলী ইউনিয়নের শুরপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম হাবিবুর রহমান, মাতার নাম সেতারা বেগম। প্রাথমিক জীবনে তিনি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার লৌহজং বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পড়াশোনা করে ইডেন মহিলা কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেন এবং বাংলাদেশ ল-কলেজ থেকে এলএলবি কমপ্লিট করেন। তিনি সাংবাদিকতা বিষয়ে জাতীয় গণমাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইনস্টিটিউট থেকে ট্রেনিং গ্রহন করে। অনেকগুলো পত্রিকায় কাজ করেছেন সর্বশেষ জাতীয় পত্রিকা দৈনিক যুগান্তরে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেছেন অনেক দিন। অবশেষে ২০১৫ সালে সাপ্তাহিক আমার গৌরব নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার রেজিস্ট্রেশন পান। সাপ্তাহিক পত্রিকাটি মিডিয়া তালিকাভুক্ত করে অধ্যবধি নিয়মিত প্রকাশ করে আসছেন। এছাড়াও দৈনিক মানবতার কণ্ঠ নামে বর্তমানে একটি দৈনিক পত্রিকার রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম চলছে তার। তিনি সাংবাদিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। আফরোজার তালুকদারের মত কয়জন দেশ প্রেমিক মানুষকে সচেতন করার প্রতিদিনের এক রুঠিন নিয়েছেন সেটাই ভাবনার বিষয়। তাইতো অনেকে আফরোজার নাম দিয়েছে করোন বীর যোদ্ধা একজন সফল নারী সৈনিক আফরোজা তালুকদার।
এছাড়াও আরও জানা যায় ছোটবেলা থেকে মানুষের জন্য কাজ করার অভিপ্রায় নিয়ে তিনি বড় হয়েছেন। ছোটবেলা থেকে পড়ালেখা করার জন্য পরিবার থেকে হাত খরচ বাবদ যে অর্থ তাকে দেওয়া হতো সেখান থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে গরিবদের জন্য জমিয়ে রাখতেন তিনি। যখন যে কোনো দরিদ্র অসহায় লোক তার কাছে সাহায্য পার্থী হতো তিনি সেই টাকা দিয়ে তাকে সহায়তা করতেন। কোর্টে কাজ করতে গিয়ে তিনি অনেক নারীকে বিনামুল্যে সহায়তা করে করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। মানুষ মানুষের জন্য এই অভিপ্রায় তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্য নিয়ে যখন যেমন পেরেছেন সাধ্যমত মানুষের পাশে তা নিয়ে দাড়ায়িছেন। মানুষের জন্য কাজ করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ২০১৯ সালে আমার গৌরব ফাউন্ডেশন নামে একটি ফাউন্ডেশন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে নিবন্ধনকরেন তিনি। যাতে সামাজিক দায় বদ্ধতা থেকে একাধিক সমোমনা জনদরদি লোকের সমন্নয়ে সমাজের উন্নয়নে জন্য কাজ করতে পারা যায়। অর্থ থাকলেই হয়না মানুষের জন্য কাজ করতে সবচেয়ে বড় যেটা প্রয়োজনন সেটা হচ্ছে মন যা আফরোজা তালুকদারের মধ্যে বিরাজমান রয়েছে।ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যার নিত্য দিনের নেশা। বর্তমান পেক্ষাপটে অন্যের উপকার হবে আমাদের দেশে এরকম মন মানসিকতার লোকসংখ্যা খুবই কম। দেশ ও জাতির কল্যাণে আসুন আমরা সবাই আফরোজা তালুকদারের রঙ্গিন চিঠি পড়ে সচেতন হই, করোনাকে ভয় করি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, নিজেও নিরাপদে থাকি অন্যকেও নিরাপদে রাখি, দেশকে সহযোগিতা করি তাহলেই হবে আফরোজা তালুকদারের স্বপ্নীল স্বপ্নের সার্থকতা। তার এই স্বার্থকতার কর্মকান্ড দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।##