• আইন আদালত/সাজা

    বিশ্বম্ভপুরে যৌতুকলোভী স্বামী,শ্বশুড়,শ্বাশুড়ি ও দেবরেরকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা

      প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২১ , ৯:৫৭:০৭ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামে যৌতুকলোভী স্বামী,শ্বশুড়,শ্বাশুড়ি ও দেবরের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে তাদেরকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিশ^ম্ভরপুর জোনে একটি মামলা করেছেন স্ত্রী সাবিকুন্নাহার ঝর্ণা। গত ১৪জুন ২০২১ইং তারিখে সাবিকুন্নাহার ঝর্ণা নিজে বাদি হয়ে কুটিপাড়া গ্রামের স্বামী নোমান আহমদ, ,শ্বাশুড়ি নুর জাহান, শ্বশুড় আব্দুল হালিম, দেবর রেজুয়ান এই চারজনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করা হয়। অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর কুটিপাড়া গ্রামের নোমান আহমদের সাথে বাদি সাবিকুন্নাহার ঝর্ণার চারলাখ টাকা দেনমোহরে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন হয়। এছাড়াও বিয়ের সময় ফার্নিচারসহ আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য আরো একলাখ টাকা নোমানের পরিবারকে দেয়া হয়। বিয়ে পর বেশ কয়েকমাস দাম্পত্যজীবন ভাল চললেও এরপরেই নোমান ও তার পিতামাতা মোটর সাইকেল বাবত যৌতুক হিসেবে দেড়লাখটাকা বাদির বাবার বাড়ি হতে এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। বাদি এই টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তার উপর স্বামী,শ্বশুড়,শ্বাশুড়ি ও দেবর কর্তৃক চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এই নির্যাতন শেষ পর্যন্ত বাদিনীকে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে তার পিত্রালয়ে রেখে আসেন এবং মোটর সাইকেল বাবত দেড়লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে নিয়ে আসতে পারলে যেন স্বামীর বাড়িতে আসে সেই কথা বলে দেয়া হয়। কিছুদিন পর বাদিনী সাবিকুন্নাহার ঝর্না স্বামীর বাড়িতে আসলে স্বামী নোমান আহমদ প্রথমে জানতে চায় মোটর সাইকেলের দেড়লাখ টাকা নিয়ে এসেছে কিনা। সাবিকুন্নাহার টাকা আনেননি বলে জানালে নোমান তার ন্ত্রীকে কিল ঘুষি মেরে আহত করে মাঠিতে ফেলে দিলে শ^শুড়,শ^াশুড়ি মিলে চুলের মুঠিতে ধরে টানাহেচড়া করে পরে দেবর এসে তাকে লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেয়।
    এব্যাপারে বাদিনী সাবিকুন্নাহার ঝর্ণা জানান,বিয়ের পর থেকে নামাংঙ্কিত ব্যক্তিরা তাকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করত এবং মাঝে মাঝে শারীরিক নির্যাতন করত। তিনি আসামীদ্বয়ের দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান।
    এ ব্যাপারে প্রধান আসামী স্বামী নোমান আহমদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন সাংবাদিকরা যা লিখতে পারেন লিখেন তার নাকি কিছুই করতে পারবে না।
    এ ব্যাপারে বাদিনীর শ্বশুড় মো. আব্দুল হালিমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
    এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুরজ্ঞিত তালুকদার জানান,বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content