প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২১ , ৮:৫৪:৫৯ অনলাইন সংস্করণ
এ সময় বাংলাদেশ কওমী ছাত্রফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্য সচিব হাফেজ মাওলানা জামিল সিদ্দিকী বলেন, বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে মসজিদের দাতা ও পাহাড়ী দাঈ নওমুসলিম ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে নওমুসলিমদের ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে। শুধু তাই নয়, শহীদ ওমর ফারুক হত্যাকাণ্ডের সাত দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও আশ্চর্যজনকভাবে হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি প্রশাসন।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এর পেছনে খৃস্টান মিশনারীসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। সরকারকে দ্রুত পার্বত্য অঞ্চলের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এই সমস্ত সংস্থা ও মিশনারীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত অন্য বক্তারা বলেন, পাহাড়ের উপজাতি মুসলিম সম্প্রদায় খুবই অসহায় ও অনুন্নত অবস্থায় দারিদ্রতার সাথে জীবন যাপন করছে। তারা সর্বক্ষেত্রে অবহেলিত ও বঞ্চিত। শুধুমাত্র বিশ্বনবী ও শান্তির অগ্রদূত হযরত মোহাম্মদ সা:-এর নীতি-আদর্শ এবং পবিত্র কোরআনকে ভালোবেসে ও বুকে ধারণ করেই তারা বেঁচে আছে। এ দেশের সরকার এবং সমস্ত মুসলমানদের উচিত পাহাড়ি মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের নিরাপদ জীবনের ব্যবস্থা করা।
মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ কওমি ছাত্রফোরামের নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আরো পাঁচটি দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো-
১। পাহাড়ী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২। ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যাকাণ্ডসহ সকল হত্যাকাণ্ডে হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৩। ওমর ফারুক ত্রিপুরার পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতায়ন ও দুর্গম এলাকায় সেনা, বিজিবি ও পুলিশক্যাম্প বৃদ্ধি করতে হবে।
৫। নওমুসলিমদের সার্বিক নিরাপত্তা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি