প্রতিনিধি ৭ জুন ২০২১ , ৭:১২:১৭ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুলঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ব্যবসায়ী নুর আলম (১৮)কে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরেই হত্যার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া মামলার ১ নাম্বার আসামী কামরুল ইসলাম সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেলাল আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধিতে বলেছে।
নিহত নুর আলম সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের দর্প গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। আসামী কামরুল ইসলাম (২১) উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের জিরারগাঁও গ্রামের গুলফর আলীর ছেলে।
এছাড়াও হত্যা মামলায় জিরারগাঁও গ্রামের আব্দুস সত্তারের ছেলে সুজন মিয়া (৪০) তার স্ত্রী রুবিনা বেগম (২২), একই গ্রামের মমশর আলীর দুই ছেলে ওসমান গনি (৩০) এবং ওমর গনি (২৫)কে শনিবার আটকের পর গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ কারাগারে পাঠিয়েছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ। এর আগে নুর আলমকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার সকালে কামরুল ইসলামকে সিলেট শহরের কদমতলী এলাকা থেকে আটক করে।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজির আলম বলেন, মামলার ১ নাম্বার আসামী কামরুল আদালতে দেয়া তার জবানবন্ধি হতে জানা যায়। আসামী সুজন মিয়ার স্ত্রী রুবিনা বেগম(২২) সাথে নিহত ব্যবসায়ী নুর আলমের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কামরুলের স্ত্রীর সাথে নুর আলমের সম্পর্ক জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী নুর আলমকে তার রেস্তোরা থেকে ডেকে নিয়ে যায় কামরুল। পরে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করায় নুর আলমের মৃত্যু হয়। এবং পরবর্তীতে জিরারগাঁও গ্রামের পাশে জমিতে তার লাশ ফেলে যায়। শুক্রবার সকালে জমি থেকে নূর আলমের লাশ উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ। নুর আলম হত্যার ঘটনায় শনিবার তার বড় ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে নূর আলমকে ১ নাম্বার আসামী জরে ও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামায় রেখে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।