প্রতিনিধি ৮ জুন ২০২১ , ৯:৫৬:৪৯ অনলাইন সংস্করণ
মাহমুদ আহসান হাবিব: রুহিয়া থানার ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক অফিসার (ইউপি সচিব) আব্দুল মান্নান এর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠেছে। সোমবার অত্র ইউনিয়নে নতুন জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ ও জন্ম নিবন্ধনের নাম সংশোধন কাজ করতে আসা কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা আদায় সহ এর পূর্বে ৮ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং তারিখে ভিজিডি কার্ডের জমানো টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল ঐ প্রশাসনিক অফিসার আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ২০১৯-২০২০ ভিজিডি কার্ড ধারী বিউটি, সেলিনা, নুরবানু, শিরিন, বকুল, নাছিমা সহ অনেকে জানান, আমরা প্রতিমাসে ৩০কেজি চাল পেয়েছি এবং ৩ শত টাকা করে আমরা সঞ্চয় করেছি এতে আমাদের মোট টাকা জমা করেছি ৭হাজার ২শত টাকা। কিন্তু আমাদেরকে এখন ফেরত দিচ্ছে ৪হাজার টাকা মাত্র। মধুপুর ৮নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার, মামুন রানা, সাকিব ইসলাম জানান আমরা আমাদের বোনের জন্মনিবন্ধন কার্ডটিতে শুধু নামের বানান ভুল সংশোধনের জন্য সচিব আমাদের নিকট থেকে ৬শত করে টাকা নিয়েছে। যেখানে সরকারী নির্ধারিত ফি ৫০টাকা মাত্র।এছাড়া কুজিশহরের সামসুল/হাজেরার কাছ থেকে ৮০০ টাকা, শ্রীমতি মমতা রানীর কাছ থেকে ৫০০টাকা, ঘনিবিষ্ণুপুর, নুরনবী,মানিক ইসলাম ফয়সাল মোস্তাফিজুর রহমান, ফজলে রাব্বী, মিঠুন সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিটি জন্ম নিবন্ধন কার্ডের ক্ষেত্রে কাজের সরকারী র্নিদেশনা অমান্য করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আব্দুল মান্নান। অতিরিক্ত টাকা না দিলে কালক্ষেপনসহ হয়রানি করানো হচ্ছে যা কাম্য নয়। এ বিষয়টি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেননি। ফলে ইউনিয়নের সহজ সরল সাধারন মানুষ বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ সংশোধনের কাগজ সংগ্রহ করছে। জনগন চায় এ বিষয়ে সংশ্লিস্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন প্রশাসন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন প্রশাসনিক অফিসার আব্দুল মান্নানের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার পেছনে যারা অভিযোগ করে তা শুনে নয় লিখিত ভাবে কোন অভিযোগ থাকলে সাথে রাখেন। আমি মিটিংয়ে আছি বলে কল লাইনটি কেটে দেন।
১নং রুহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু জানান, আমার অজান্তে সে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতেছে। আমি একাধিক বার তার মোখিক অভিযোগ পেয়েছি, সালিশও করেছি। পরে প্রশাসনিক অফিসার’কে বেশ কয়েক বার বলেছি অতিরিক্ত অর্থ যেন আদায় না করা হয়। কিন্তু সে আমার কথা রাখছে না।
সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভুক্তভূগীদের লিখিত একটি অভিযোগ দিতে এবং তিনি বলেন সরকার নির্ধারিত ফি এর বাইরে যদি অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রমান পাওয়া যায় তাহলে সংশ্লিস্ট ইউনিয়নের জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান সেলিম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন স্মরণাপর্ণ হতে।