• লিড

    ঠাকুরগাঁওয়ে প্রেমিকাকে ডেকে মারপিটের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ১ জুন ২০২১ , ৮:২০:৪৫ অনলাইন সংস্করণ

    মাহমুদ আহসান হাবিব: ঠাকুরগাঁওয়ে এক কিশোরিকে ডেকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক সাইফুল ইসলাম ও পরিবারের বিরুদ্ধে।গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের টিকিয়িাপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা ওই কিশোরিকে উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ও তার দুলাভাই আলমগীর হোসেন পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

    নির্যাতিতার মা অভিযোগ করে বলেন, সাইফুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ ঘটনা জানা জানি হলে পরে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বিভিন্ন জনের কাছে প্রস্তাব দেয় । আমার মেয়ে ও সাইফুল আলোচনার মাধ্যমে বিয়ের দাবী তুললে ধূর্ত সাইফুল বিভিন্ন অজুহাতে দিন ক্ষেপন করতে থাকে।কিন্তু এক পর্যায়ে বিয়ের জন্য জোর দাবী তুললে গত ৪ মে ২০২১সাইফুল তার বউ বিউটি বেগমকে (৩৪) গোপনে ক্লিনিকে নিয়ে আসে এবং পারুলকে বেধড়ক মারপিট করে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।এমতাবস্থায় ক্লিনিকের অন্যান্য কর্মচারীরা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমার মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোঃ হুমায়ুন কবিরস‍্যার তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেন, এদিকে সাইফুল ইসলাম মারধর ও শ্লীলতাহানীর ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমার ক্লিনিকে কর্মরত নার্স হঠাৎ মাটিতে পড়ে গেলে আমিসহ কয়েকজন মিলে তাৎক্ষনিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি । ক্লিনিকে গন্ডগোলের খবর জানাজানি হলে বিভিন্ন লোকজন সাংবাদিক আসলে সে আনেককে অনুরোধ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেবার জন্য।এদিকে আমার মেয়ে মাইর খেয়ে মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার কারনে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে যাই গত ৩১ মে আমার মেয়ে সাইফুলের বাড়িতে গেলে লাপাত্তা হয়ে যায় সাইফুল পরে তার দুলাভাই আলমগীর হোসেন ওই দিন সোমবার মোবাইল ফোনে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে আসে টিকিয়াপাড়া তার বাসায়।
    এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাইফুল, আলমগীর হোসেনসহ তার পরিবারের সদস্যরা তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পরলে পুলিশের সহায়তায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি এর বিচার চাই।

    উল্লেখ্য, পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারীতে নিউ পপুলার ক্লিনিকের মালিক সাইফুল ইসলামের তত্বাবধানে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন ওই কিশোরি। এর পর থেকে ক্লিনিকের মালিক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সর্ম্পক গড়ে তোলে। পপুলার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের বিরুদ্ধে তারই ক্লিনিকের সিনিয়র স্টাফ নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল ৪ মে২০২১ তারিখে দুপুরে তারই ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে গত দুথবছর পূর্বে পার্শ^বতী ঠাকুরগাও জেলার বালিয়াডাঙ্গী এলাকার কালমেঘ গ্রামের জনৈক কৃষকের কন্যা ডিপ্লোমা নার্স (২৪) আটোয়ারী উপজেলার ফকিরগঞ্জ বাজারের মাহাবুবা প্লাজায় গড়ে উঠা নিউ পপুলার ক্লিনিকে যোগদান করেন।অভিযোগ উঠেছিল তথাকথিত ওই ক্লিনিকে চাকুরিতে যোগদানের কয়েক মাসের মধ্যেই মালিক সাইফুল ইসলাম নার্সের প্রতি দূর্বল হয়ে পরে।একপর্যায় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং অবাধ মেলামেশা শুরু করে। উভয়ের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠার সুবাদে প্রায় দেড় বছর থেকে তারা ফকিরগঞ্জ বাজার সহ উপজেলার অলি-গলিতে এমনকি বিভিন্ন আবাসিক হোটেল আর পার্কে অবাধ বিচরণ করতে থাকে।এঅবস্থায় ওই নার্স বিয়ের দাবী তুললে ধূর্ত সাইফুল বিভিন্ন অজুহাতে দিন ক্ষেপন করতে থাকে।কিন্তু এক পর্যায়ে ওই নার্স বিয়ের জন্য জোর দাবী তুললে সাইফুল তার বউ বিউটি বেগমকে (৩৪) গোপনে ক্লিনিকে নিয়ে আসে এবং নার্সকে বেধড়ক মারপিট করে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।এমতাবস্থায় ক্লিনিকের অন্যান্য কর্মচারীদের সহযোগিতায় গুরুতর অসুস্থ নার্সকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

    এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শোনার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content