প্রতিনিধি ৮ জুন ২০২১ , ৬:০৭:২৯ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুর পৌর এলাকায় মামুন গংদের অতর্কিত হামলায় লেগুনা, সিএনজি ও অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়ন কলকলিয়া পয়েন্ট উপ-কমিটির সভাপতি নানু(৩৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনার বিবরণ প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাড়ারগাঁও গ্রাম নিবাসী মৃত আছকন আলীর ছেলে লেগুনা, সিএনজি ও অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়ন কলকলিয়া পয়েন্ট উপ-কমিটির সভাপতি মোঃ নানু মিয়া ৮ ই জুন রোজ মঙ্গলবার জগন্নাথপুর পৌর এলাকার স্লুইস গেইট এলাকা সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত লুৎফুর রহমান এর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে নিজ সিএনজি গাড়ী মেরামত কাজ তদারকি করছিলেন। বিকাল প্রায় সাড়ে চার ঘটিকার দিকে জগন্নাথপুর পশ্চিম বাজার শাখা লেগুনা, সিএনজি ও অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়ন কমিটির অন্তর্ভুক্ত সিএনজি চালক জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইকড়ছই গ্রাম নিবাসী মামুন মিয়া(২৬) সহযোগী আরো ৪/৫ জনকে সাথে নিয়ে ধারালো অস্ত্র ও রড দিয়ে নানু মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা করে মাথায়, নাকে ও মূখে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। নানু মিয়ার আর্তচিৎকার আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে হামলাকারী মামুন ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ভাবে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় নানু মিয়াকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে তাহার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট হাসপাতালে রেফার করেন। সে বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এনিয়ে হামলায় লেগুনা, সিএনজি ও অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়ন কলকলিয়া পয়েন্ট উপ-কমিটির শ্রমিকদের মাঝে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রুবেল বলেন, আহত নানু মিয়ার মাথায় ও নাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মূখের দাঁত কয়েকটি লড়ে গেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছি।
এব্যাপারে আহত নানু মিয়ার ভাই লুৎফুর রহমান বলেন, আমার ভাইয়ের মাথায়,নাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মৃখের দাঁত নড়া-ছড়া করছে। কথা বলতে পারছেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ভাই সুস্থ হলে পুরো বিষয়টি বলতে পারব। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।