প্রতিনিধি ৪ জুন ২০২১ , ১০:১২:২৮ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরে ইয়াবা, গাঁজা ও চোলাই মদ এবং জোয়া খেলা সহ অসামাজিক কার্যকলাপ আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে স্কুল – কলেজগামী শিক্ষার্থীরা সহ উঠতি বয়সী যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের শুরুর দিকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও র্যাব এর বিভিন্ন অভিযান পরিচালনাকালে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অনেক মাদক ব্যবসয়ী ও মাদকাসক্ত সহ জোয়াড়ীরা গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাওয়ার পাশা-পাশি অনেকেই গাঁঢাকা দিলেও চলতি সনের বিগত দুই /তিন মাস ধরে অত্র উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রাম এলাকায় আবারো মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত এবং জুয়াড়ীদের উপদ্রব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে ৩ রা জুন রোজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানাযায়, উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার, কলকলিয়া বাজার, মোহাম্মদগঞ্জ বাজার, রানীগঞ্জ বাজার, রসুলগঞ্জ বাজার, শ্রীরামসি বাজার ও চিলাউড়া বাজারে অতি সুকৌশলে সুশীল সমাজ ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা ফেরী করে ইয়াবা,গাঁজা ও চোলাই মদ সহ ভারতীয় অফিসার, ডাইজিন,রয়েল ও পেনেসিডিল নামক মাদকদ্রব্য স্কুল -কলেজগামী শিক্ষার্থী সহ উঠতি বয়সী যুব সমাজ এর নিকট প্রকাশ্য দিবালোকে বিক্রি করছে। হাতের নাগালে পেয়ে এসকল মাদকদ্রব্য সেবন এর কারনে মরনব্যাধী ক্যান্সার ও শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন প্রকার প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশা-পাশি মানসিক ভাবে বিকারগস্ত হচ্ছে যুব সমাজ। এমনকি নেশার টাকা যোগানোর তাগিদে চুরি -ছিনতাই ও সন্ত্রাসী সহ নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপে ধাবিত হচ্ছে। উপজেলার প্রায় ৬০℅ যুব সমাজ মাদকাসক্ত। এছাড়াও অত্রাঞ্চলে তাশ, গাফলা,ক্যারামবোর্ড ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জোয়া খেলার প্রবনতা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে প্রায় পোলট্রি ফার্ম ও মাছের ফিসারী রক্ষণাবেক্ষণ এর জন্য নির্মিত বাসায় (ঘর) প্রতিনিয়ত জোয়া খেলা হচ্ছে।
মাদকাসক্ত ও জুয়াড়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল।