প্রতিনিধি ১২ জুন ২০২১ , ৪:২৯:৫৯ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মরনব্যাধী করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ আতংকে জগন্নাথপুর এর মীরপুর ইউনিয়নবাসী। লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে ৫ টি বাড়ী।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মধু সুদন ধর এর নেতৃত্বে প্রশাসনিক একটি দল ১১ ই জুন সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার মীরপুর ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত আটঘর গ্রামের ৫টি বাড়ী লডকাউন ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও মরনব্যাধী সংক্রমণ প্রতিরোধে আটঘর ও স্থানীয় কেউনবাড়ী বাজার এর জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ।
জানাযায়, উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন এর আটঘর গ্রামের তরুণ সমাজকর্মী লিটু খান বিগত ৪ জুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে । এই মৃত্যুর কয়েকদিন অতিবাহিত হতে না হতেই বিগত ১০ জুন একই এলাকার এক পরিবারের তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। আক্রান্তরা হোম আইসোলেশনে আছেন। করোনা মারা যাওয়া লিতু খানের বাড়িসহ পাশের আরো ৫টি বাড়ি লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। ওই সব বাড়ির লোকজনকে ১৪দিন হোম কোরেন্টাইনে থাকতে হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মধু সুদন ধর বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আটঘরের ৫টি বাড়র লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। এছাড়া আমরা আটঘরের বাড়র বাড়ী ও বাজারের ব্যবসায়িদের দোকানে দোকানে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের জন্য জনসচেতনামূলক প্রচারনা করেছি। তিনি জানান, জগন্নাথপুরে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৩৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। সুস্থ হয়েছেন ২২৪ জন। ১৩ জন হোম আইসোলেসনে এবং ১জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ী ও নতুন করে আক্রান্ত পরি¦বারসহ আটঘর ও কেইনবাড়ি বাজারের লোকজনকে সরকারি নির্দেশনা অনুয়ায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের না হওয়ার জন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি।