• গ্রেফতার/আটক

    আর্মি স্বামীর নির্দেশে নিজ স্ত্রী গনধর্ষণের শিকার, থানায় অভিযোগে গ্রেফতার ৫

      প্রতিনিধি ২২ জুন ২০২১ , ৯:১০:৫৫ অনলাইন সংস্করণ

    মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধি।নড়াইলের কালিয়ার সেনা সদস্যের নির্দেশে নিজ স্ত্রীকে গনধর্ষনের ঘটনায় কালিয়া থানায় মামলা করেছেন ধর্ষনের শিকার ঐ সেনা সদস্যের স্ত্রী,এ ঘটনায় পুলিশ সেনা সদস্য রিপন মোল্যা সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে কালিয়া থানা পুলিশ।গ্রেফতারকৃত ছোটন (২২), জেমস মোল্যা (১৯),জিন্নাত মোল্যা (২০) ও কালু মোল্যা (২৭)। আটক কৃত সেনা সদস্য রিপন মোল্যা যশোর ক্যান্টমেন্ট এর ডিপ হেডকোয়ার্টার এর অধীনে কর্মরত।আটক সেনা সদস্য রিপন মোল্যা কে মঙ্গলবার সকালে যশোর ক্যান্টমেন্ট এর ৫৫ এমপি ইউনিট এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।পুলিশ জানাযায়,কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বিলবাউচ গ্রামে (২০ জুন) রাত ২ ঘটিকার সময়ে সেনা সদস্য রিপন মোল্যার বাড়িতে ৪ জন যুবক প্রবেশ করে,সে সময় ঘরে স্ত্রী,দুই কন্যা,একপুত্র সহ প্রতিবেশী এক কিশোর উপস্থিত ছিলো।ধর্ষণকারীদের প্রবেশে বাধা দিলে মোবাইল ফোনে সেনা সদস্য ফোনে তার স্ত্রীকে ধমকে তাদের ঘরে ঢুকতে নির্দেশ দেয়,এরপর দুই কন্যা ও পুত্রকে ঘর থেকে বের করে সেনা সদস্যের নির্দেশে তার স্ত্রী”র উপর কিশোরকে উলঙ্গ করে ফোনে ছবি তুলতে নির্দেশ দেয় সেনা সদস্য।৪ যুবক মোবাইলে সেনা সদস্যের স্ত্রীর নানা ধরনের ছবি তোলে এবং একপর্যায়ে পালাক্রমে ৩জন ধর্ষন করে।এ ঘটনার পরদিন ২১ জুন সেনাসদস্য নিজ বাড়িতে ডাকাতির মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে।২১ জুন রাত ১১ টায় সেনা সদস্যের স্ত্রী বাদী হয়ে কালিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে,যার (মামলা নং-৭/২১.০৬.২১)।

    ২১ জুন রাতে সেনা সদস্য সহ ৪ জন ধর্ষনকারীকে বিলবাউচ গ্রাম থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে,খবর পেয়ে যশোর ক্যান্টমেন্ট থেকে সেনাবাহিনীর ৫৫ এমপি ইউনিট থেকে একটি টিম কালিয়ায় আসে।রাতে পুলিশ ঐ সেনা সদস্যকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। অন্য আসামীদের আদালতে প্রেরন করে।বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভিকটিমের পরীক্ষা চলছে।
    ধর্ষনের শিকার নারীর বলেন,রাতে তার স্বামীর নির্দেশে তার মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়,পরে পালাক্রমে ধর্ষন করে,এরা সবাই তার স্বামী রিপন মোল্যার আত্নীয়।নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মশিউর রহমান বাবু বলেন,মঙ্গলবার দুপরে কালিয়া থেকে পুলিশের মাধ্যমে গনধর্ষনের অভিযোগ নিয়ে এক নারী নড়াইল সদর হাসপাতালে আসে,তার শারীরিক পরীক্ষা চলছে,পরীক্ষা শেষে বলা যাবে।নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, আসামীদের ধরা সম্ভব হয়েছে,আশাকরি ভিকটিম ন্যায়বিচার পাবে।তিনি আরো বলেন,সেনাবাহিনীর সদস্য হলে নিয়ম অনুযায়ী যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয় তাই করা হয়েছে বলেও জানান।

    আরও খবর

    Sponsered content