মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল স্টাফ রিপোর্টার। সিলেট নগরীর অধিকাংশ আবাসিক হোটেল যেন মিনি পতিতালয় হিসেবে গড়ে উঠেছে, টাকা দিলেই পাওয়া যায় নারী। নগরীর আবাসিক হোটেল গুলোতে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে নারী-পুরুষদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তবু ও সিলেটের হোটেল গুলোতে থামছে না যৌনকর্ম। সর্বদা ধরাছোয়ার বাহিরে থেকে যায় মূলহোতা সিলেটের আলোচিত পতিতা দালাল বাবুল উরফে হিন্দু বাবুল। এই বাবুলের মাধ্যমে সিলেটের অধিকাংশ হোটেলে পতিতা পাঠানো হয়। পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার ও ২৩ মে অভিযান চালিয়ে নগরীর ‘বন্ধু রেস্ট হাউজ’ নামক হোটেল থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকাবস্থায় ১ পুরুষ ও ২ নারীকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানাধীন বন্দরবাজার পুলিশফাঁড়ি। সিলেট মহানগর পুলিশের এসএম পি রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর কালীঘাটস্থ বন্ধু রেস্ট হাউজ থেকে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় বরিশাল জেলার বানরিপাড়া থানার কচুয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের মেয়ে রহিমা সোনিয়া (২০), শেরপুর জেলার শ্রীবর্দি থানার আয়নাপুর গ্রামের মৃত বাবুল আহমদের মেয়ে বৃষ্টি আক্তার ও সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার পূর্বপাগলা গ্রামের আছাদ আলীর ছেলে হাসান (১৮)-কে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি মডেল থানাধীন বন্দরবাজার ফাঁড়ির একদল পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. মোস্তাফিজুর রহমান। সঙ্গে ছিলেন ফাঁড়ির এসআই মো. সাজেদুল করিম সরকারসহ অন্যান্য ডিউটি পার্টির অফিসারবৃন্দ।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।