নবীন মাহমুদ, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি ঃ সারা দেশে করোনাভাইরাসে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ, অভাব-অনটন। এর থেকে রাজাপুর বাসীকে রক্ষা করতে সরকারের নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন। কারো ঘরে খাবার না থাকলে খবর পেয়ে গ্রামগঞ্জে ত্রাণ নিয়ে ছুটে যান ওই কর্মকর্তা। সোমবার (১০ মে) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট কৈবর্তখালী গ্রামে অসহায়, হতদরিদ্র, কর্মহীন আমেনা বেগমের একটি আর্তনাতের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে সেই ভিডিও রাজাপুর ইউএনওর নজরে পরার পরে রাতেই নিজস্ব গাড়িতে করে সেই আমেনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেন এবং তিনি ভূমিহী হওয়ায় তাকে ভূমিহীনদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ঘর ও সরকারি ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। এ সময় বৃদ্ধা আমেনা বলেন, আমার আয় করার মত কেউ নাই, আমার স্বামী সন্তান নাই, থাকার মতো কোনো স্থান নাই। ইউএনও স্যার আমার সমস্যার কথা শুনে নিজেই খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আমার কাছে হাজির হয়েছেন। এতে আমার অনেক উপকার হয়েছে। আমকে থাকার মতো সরকারি ঘর ও ভাতা দিবে আমি ইউএনও স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই আমি তাকে দোয়া করি আল্লাহ তার সহায় হোক। ইউএনও মোক্তার হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো ইফতারের পর একটু বিশ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। হঠাৎ অফিসিয়াল ফেসবুকে ঢুকা মাত্রই আমেনা বেগমের ছবিটা চোখে পড়ল। তার খাওয়ার মত কিছু নেই। তৃতীয় পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে পোষ্ট দাতার নম্বর পাওয়া গেলো। পোষ্ট দাতাকে ফোন দিয়ে ঠিকানা নিয়ে ছুটলাম আমেনা বেগমের কাছে যাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা হাতে তুলে দিলাম। জানতে পারি তার থাকার কোনো জায়গা নেই ও কোনো ভাতাও পাচ্ছেননা। এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন হলেই আমেনা বেগমের জন্য ঘর এবং কোনো ভাতার ব্যবস্থা করব।