প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২১ , ৮:২৬:৩৯ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুলঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের এক গৃহবধুকে যৌতুকের কারণে স্বামীর ঘর ছাড়তে হয়েছে। বিয়ের ২২ দিনের মধ্যেই এ নেক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল করালি গ্রামের আহাদ আলীর মেয়ে আয়েশা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের
জমসিদ আলীর ছেলে মঈনুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুকের দাবি না থাকলেও মেহেদীর রং না শুকাতেই বিয়ের ২২ দিনের মাথায় যৌতুকের তাড়নায় নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীর ঘর ছাড়তে হয়েছে আয়েশাকে। ৪ মে রাতে আয়েশার শশুর জমসিদ আলীর চাহিদা অনুযায়ী বাবার বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় শ্বশুর ও তার স্বামী তাকে ব্যাপক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ঘর থেকে বের করে দেয়া হয় আয়শাকে। সে নিরুপায় হয়ে অসহায় বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এসব ঘটনায় গত ১৯মে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মঈনুল ইসলাম ও তার পিতা জমসিদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আয়েশা বেগম। মামলার খবর পেয়ে জমসিদ আলী তার ছেলে মঈনুলকে লুকিয়ে রেখেছে। এবিষয়ে আয়েশার বৃদ্ধ দাদা উমর আলী জানান, জমসিদ আলী তার পরিবারের লোকজন কে রাস্তা ঘাটে চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। জমসিদ আলী জানান, তার ছেলে বাড়িতে নেই, যত টাকা খরচ হবার হউক আমি এই মেয়েকে বাড়ির বউ হিসাবে ঘরে নেবেন না তিনি। অসহায় দিনমজুর পরিবারের মাতৃহীন আয়েশা বেগম জানান, আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তিনি।এব্যাপারে তিনি ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করেন। দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজির আলম বলেন, আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি এখনো থানায় আসেনি। মামলার কপি পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।