প্রতিনিধি ২৯ মে ২০২১ , ১১:১৮:৪৮ অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কাউয়াজুড়ী গ্রামে সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ৪০টি পরিবারের মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে। ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে এর মধ্যেই,, প্রাণনাশের হুমকি, যৌন হয়রানি, জমি দখল,ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দখলের এর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে,কাউয়াজুড়ী গ্রামের মৃত আঞ্জব উল্যার ছেলে মতিন মিয়ার নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে ওঠে। আর এদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে মন্তসর,তারেক,মাসুম,সেলন,ইকবাল,জোমেল,মাহভুব,সমসু,মোজাহিদ,ইয়াসিন,এনামুল হক,কায়েস,রুনু মিয়া,শিমুল,সজিব,ও লিকসন,এবং শাফি।
মামলা ও প্রশাসনের কাছে দেওয়া বিভিন্ন অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মতিন মিয়ার নামে নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুড়ি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি মামলায় সে জামিনে আছে এবং মামলা বর্তমান এ বিচারদিন আছে,।জামিন পেয়ে পরবর্তীতে সে তার অনুগতদের নিয়ে একটি গ্যাং তৈরি করে। তারপর শুরু হয় একের পর এক বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের শিকার বেশ কয়েকজন মতিন মিয়া ও তার সহযোগীদের বিভিন্ন অপকর্মের চিত্র তুলে ধরেন। তারা অভিন্নভাবে এই নিউজ পোর্টাল এর কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন এখনই এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। এ প্রসঙ্গে মতিন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসব মিথ্যা অভিযোগ। প্রতিহিংসাবশত তারা আমার নামে বারবার অভিযোগ করছে।
সরেজমিন কাউয়াজুড়ী গ্রাম ঘুরে জানা যায় গত ঈদের দু,দিন আগে রাত আনুমানিক ৯.৪০ মিনিটে অতর্কিত হামলা চালায় ওই গ্রামের লন্ডন প্রবাসীর বলয়ের লোকজন উপর, তার একদিন পর শত শত মানুষের সামনে অস্ত্রের মুখে তালা লাগিয়ে দেয় জিলাই মিয়ার মিলে,জানা যায় চাদা না পেয়ে ওই মিলে তালা ঝুলিয়ে দেয় মতিন বাহিনী ,খবর পেয়ে সন্ত্রাসী মতিনের হাত থেকে উদ্ধার করে দিরাই থানা পুলিশ।
পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের এর অপরাধে মিল ব্যাবসায়ী জিলাই মিয়াকে মতিন বাহিনীর মন্তসর,মাসুম সহ ৪/৫ জন মিল থেকে বাড়ী ফেরার পথে আক্রমণ করে,পরে খবর পেয়ে দিরাই থানার পুলিশ জিলাই মিয়াকে উদ্ধার করে,এ ঘটনার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে,
সর্ব শেষ যে ঘটনাঘটি ঘটায় তা আরো ভয়াবহ,
ওই গ্রামের লন্ডন প্রবাসী কাচা মিয়ার খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেয় মতিন বাহিনী এতে খড়ের ঘর -ও ঘর পুড়ে চাই হয়ে যায়,
অল্পের জন্য রক্ষা পায় বসত ঘর ও ধানের গোলা, এ ঘটনায়ও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে,
দক্ষিন সুনামগঞ্জ ও দিরাই থানায় মতিন বাহিনীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে,
মতিন ইতোপূর্বে একবার গ্রেপ্তার হয়েছে। বর্তমানে সে জামিনে আছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন এতো অভিযোগ এর পরও মতিন ও তার দলের সদস্যরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় অস্ত্র হাতে নিয়ে তারপরও তাদের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না-! নিরীহ গ্রামবাসীর দাবি স্থানীয় রাজনৈতিক সমর্থন বন্ধ ও প্রশাসনের আরও কঠোর এ্যাকশনের প্রয়োজন।