প্রতিনিধি ১২ মে ২০২১ , ৭:১৪:৩৫ অনলাইন সংস্করণ
আয়রন ডোম নিয়ে এতো দিনের দম্ভ চূর্ণবিচূর্ণ করে হামাসের ১০৫০টি রকেট হামলা
ভাটি বাংলা ডেস্কঃ গাজায় গত সোমবার রাত থেকে দখলদাা বাহিনী ইসরাইলের বিমান হামলায় ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন- হামাসের দুই শীর্ষ নেতাসহ ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি। ইসরাইলের ওই বর্বর হামলার প্রতিশোধ নিতে সোমবার রাত থেকে দফায় দফায় সহস্রাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। খবর আনাদোলু ও টাইমস অব ইসরাইলের।
ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম ভেদ করে হামাসের রকেট আছড়ে পড়ছে তেলআবিবসহ ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে। এতে কমপক্ষে ৫ ইসরাইলি নিহত এবং কয়েকশ’ আহত হয়েছে।
হামাসের রকেট হামলায় প্রাণভয়ে দ্বিগবিদ্বিগ ছুটছে ইহুদিরা। বুধবার ভোরে ইসরাইলের লড শহরে বাড়ি ছেড়ে পালাতে থাকা দুই ইসরাইলি রকেট হামলায় নিহত হয়েছেন।এসময় তাদের গাড়িটি রকেট হামলায় উড়ে যায়।
এর আগে হামাসের রকেট হামলায় মঙ্গলবার ইসরাইলেরর দক্ষিণাঞ্চলের আশখেলন শহরে দুই নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া তেলআবিবে হামাসের রকেট হামলায় ৮০ বছরের ইসরাইলি এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত হামাসের হামলায় ৫ ইসরাইলি নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে হামাস ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে কমপক্ষে ১০৫০টি রকেট হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলের দাবি, এ সব হামলার ৮০ শতাংশই প্রতিহত করেছে তাদের আয়রন ডোম এবং বাকি দুই শতাধিক রকেট বিভিন্ন স্থাপনা ও স্থানে হামলা চালিয়েছে।
এই প্রথম ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমকে ব্যর্থ করে হামাসের এতা সংখ্যক রকেট ইহুদিদের শহরে হামলা চালাতে সক্ষম হলো।
এর ফলে হামাসকে নিয়ে নতুন করে চিন্তায় পড়েছে ইসরাইল। তাদের আয়রন ডোম নিয়ে এতো দিনের দম্ভ চূর্ণবিচূর্ণ করে একের পর হামলা চালাচ্ছে হামাসসহ ফিলিস্তিনের অন্য প্রতিরোধ আন্দোলন সংগঠনগুলো।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বরতা রুখতে এবার অস্ত্র তুলে নিচ্ছেন ফিলিস্তিনের প্রতিবাদী নারীরাও।তাদের কথা মরতে যদি হয় তাহলে সবাই একসঙ্গেই মরবো লড়াই করে।নারীদের সঙ্গে শিশুরাও যোগ দিচ্ছে অস্তিত্বের এ লড়াইয়ে।
ইহুদি উগ্রবাদীদের জেরুজালেম দখল দিবস উদ্যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে কয়েকশ’ মুসল্লি আহত হন।
হামাসের হামলার ভয়ে ইসরাইলের বৃহৎ শহর লডে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার।
ইসরাইল সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিরক্ষা ও জননিরপত্তামন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেখানকার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোরভাবে তা মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে বুধবারও গাজার বিভিন্ন এলাকার স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। হামলায় বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
অব্যাহত বিমান হামলার জবাবে ইসরাইলের অভ্যন্তরে রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। ফিলিস্তিনের বেসামরিক মানুষের ওপর হামলার জবাবে এসব রকেট হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে তারা।