প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২১ , ৭:১১:১৩ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল, স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মরণে ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মারক গ্রন্থ’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রমেন্দ্র কুমার তালুকদার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত।
সাংবাদিক শামস শামীম’র সঞ্চালনায় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লেখক সুখেন্দু সেন, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ কান্তি দে, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক অ্যাড. খলিল রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জুনেদ আহমদ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা কোহিনুর বেগম।
‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মারক গ্রন্থ’ সম্পাদনা করেছেন আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক অ্যাড. রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু ও সাংবাদিক শামস শামীম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানুষকে আপন করার এক জাদুকরী ক্ষমতা ছিল তাঁর। শুধু ভাটি বাংলায় কেন, সব জায়গায়ই দেখা গেছে তার বক্তৃতা শোনার জন্য মানুষ ভিড় জমাত। তিনি যখন সংসদে কথা বলতেন, তখন সব সদস্য তা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতেন। রাজনীতিতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নাম লেখা থাকবে সোনার অক্ষরে।
বক্তারা বলেন, রাজনীতির কবি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দীর্ঘ ৫৯ বছর রাজনীতি করেছেন দাপটের সঙ্গে। যে কোন জটিল বা কঠিন বিষয় হাস্যরসের মাধ্যমে বলার অসামান্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। তাঁর আরো যে বিরল গুণ ছিলো তা’হলো নিজের এবং নিজ দলের সমালোচনা করার ক্ষমতা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ৫ নং সেক্টরের অধীন টেকেরঘাট সাব সেক্টরে প্রথম সাবসেক্টর কমান্ডার এবং পরে সংগঠক। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর মতো অভিজ্ঞ এবং উচ্চমানের প্রজ্ঞাধারী নেতা বিরল।
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৯৪৫ সালের ৫ মে দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ভোর ৪টা ২৯ মিনিটে তিনি রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন চিকিৎসক দেবেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ও মা সুমতি বালা সেনগুপ্ত।