প্রতিনিধি ২৩ মে ২০২১ , ১০:০৫:১২ অনলাইন সংস্করণ
মাহামুদ আহসান হাবিব,ঠাকুরগাঁও॥ কৃষি ভান্ডার নামে পরিচিত দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। এখানকার মাটি উর্বর হওয়ায় আশেপাশের জেলা গুলির তুলনায় যেকোন ফসল উৎপাদন হয় বেশি । ধান ,গম, ভুট্টা, আখ সহ অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সোনালী আঁশ নামে খ্যাত পাটও বেশ ভালো চাষ হয় এখানে। বিগত সময়ে বাজারে পাটের দাম না পাওয়ায় জেলায় ধীরে ধীরে কমে যায় পাটের চাষ। তবে গত বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় পাট চাষে আবারো আগ্রহ বেড়েছে চাষীদের মাঝে। মূলত জেলার রুহিয়া অঞ্চলেই বেশি হয়ে থাকে এর চাষ। তাই রুহিয়ার চাষীদের মাঝেই পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে বেশি। সেই সাথে আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে পাটের চাষ করা হবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে,চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৪শ ৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চাষ হয়েছিল ১ হাজার ২শ ২২হেক্টর জমিতে। পাট চাষী রঞ্জন রায় বলেন, আমি দের যুগ থেকেই পাট চাষ করে আসছি। অনান্য ফসলের তুলনায় পাট চাষে রোগবলাই কম হওয়ার কারণে খুব একটা কীটনাশকের ব্যবহার করতে হয় না। ১ বিঘা(৩৩শতক) জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। আর এর উৎপাদন প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ করে। আমির, মোতালেব, ভেকু মিঞা সহ অন্যান্য চাষীরা জানান, বাব দাদার আমল সহ কয়েক যুগ ধরেই আমরা পাট চাষ কওে আসছি। এই এলাকায় একটি জুট মিল (করিম জুট মিল)স্থাপিত হয়েছিল। কয়েক বছর ধরে পাটের নায্য মূল্য থেকে আমরা বঞ্চিত হয়ে আসছি। তাই আমাদের অনেকেই পাট চাষ বন্ধ করে দিয়েছিল। সুপ্রিয় জুট মিল নামে আরো একটি বড় জুট মিল স্থাপিত হয়েছে এ জেলায় এবং যেহেতু পাটের বাজারে সু’দিন ফিরে এসেছে তাই আবারও পাট চাষ করেছি আমরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এই অঞ্চলে পাট চাষে ফলন ভালো হচ্ছে। এতে চাষীদের মাঝে পাট চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পাট চাষে চাষীদের রোগ এবং পোকামাকড় নিয়ন্ত্রনে সকল রকমের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তবে আমরা আশাবাদী আগামীতে এই এলাকায় পাট চাষ আরও বাড়বে।