• লিড

    জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের মালামাল চুরির অভিযোগ ভুয়া সভাপতির বিরুদ্ধে! সাংবাদিকদের পক্ষে থানায় সাধারণ ডায়েরী

      প্রতিনিধি ২৬ মে ২০২১ , ৯:০২:১২ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের (২০০৭ সালে প্রতিষ্টিত) মালামাল চুরি হয়েছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদেরপক্ষে জামালগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। গত ২২ মে শনিবার বিকেল দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ, দৈনিক শ্যামল সিলেট জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ও জামালগঞ্জ প্রেসক্লাব সদস্য মো: জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে ‘জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বহিষ্কিৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের একাংশের ভুয়া সভাপতিকে বিবাদী করে থানায় ডায়েরী করা হয়েছে।

    লিখিত অভিযোগে উল্লেখ, জামালগঞ্জের ২০০৭ সালে প্রতিষ্টিত জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্থানীয় সকল সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় অনেক কাগজপত্র ও মূল্যবান মালামাল ছিল। এর মধ্যে প্রেসক্লাবের সকল সম্মানিত সদস্যর অতীতের প্রয়োজনীয় তথ্যাদী, ১ টি ডেক্সটপ, ১টি মনিটর, ১টি ইউপিএস, ১টি গ্রামীন মোডেম, ১ টি রঙ্গিন টেলিভিশন, ফ্যাক্স মেশিন, ১ টি ষ্টীল আলমীরা, ১টি সীলিং ফ্যান, ১৮ টি চেয়ার, ২টি টেবিলসহ আনুসাঙ্গিক আরো অনেক মালামাল যার মূল্য প্রায় ৫’লক্ষাধিক টাকা। সম্প্রতি মো: ওলীউল্লাহ সরকার, পিতা-মৃত মো: সাফিজ উদ্দিন সরকার, গ্রাম-কালাগুজা, জামালগঞ্জ সদর, জেলা-সুনামগঞ্জ, তিনি প্রেসক্লাবের সভাপতির দাপট দেখিয়ে কাউেেক না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে প্রেসক্লাবের সকল মালামাল নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে জানা জানি হলে উপজেলার সাংবাদিক ও সুধী মহলে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। মো: ওলীউল্লাহ সরকারের এমন গর্হিত কাজে সাংবাদিক সমাজ চরম আতংক্ষিত রয়েছে। প্রেসক্লাবের ভাড়া করা অস্থায়ী কার্যালয়ে অতীতে জামালগঞ্জের সকল সাংবাদিকবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন। ওলীউল্লাহ সরকার প্রেসক্লাবের সভাপতি হয়েই তিনি দাপটের সাথেই বলেছিলেন, প্রেসক্লাবের ঘড়ভাড়া নিয়ে তোমরা ভেবোনা, আমি মাসে লাখ টাকা ইনকামের স্বপ্ন দেখি। কিন্ত তিনি এত স্বপ্ন দেখেও ঘর ভাড়ার বাকী প্রায় ৩০ হাজার টাকা না দিয়েই ওলী উল্লাহ সরকার ক্লাবের সকল মালামাল নিয়ে যায়। ক্লাবের সকল মালামাল উপজেলার সকল সাংবাদিকদের সম্পত্তি। ওলীউল্লাহ সরকার জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ ছেড়ে সম্প্রতি সংবাদপত্রের প্রতিনিধি হয়ে বিশেষ বিবেচনায় জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য অর্ন্তভুক্তি হয়। এর পূর্বে জামালগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিকদের কয়েক ভাগে বিভাজনের নীল নক্সা আঁকেন তিনি।
    বিষয়টি তদন্ত করে জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল মালামাল উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ কে লিখিত ভাবে জানানো হয়। অবেদনে স্মাক্ষী করা হয়েছে প্রেসক্লাবের ভাড়া করা ঘর মালিক সুকেশ চন্দ্র কর (ঘর মালিক), স্থানীয় গণমসাধ্যমকর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবুল কালাম জাকারিয়া, শেরে আলম শেরু, অঞ্জন পুরকায়স্থ, আকবর হোসেন, দিল আহম্মেদ, নিজামনুর, তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, আ: আহাদ, হাবিবুর রহমান, বাদল কৃষ্ণ দাস, শাহীন আলম প্রমুখ।
    এব্যাপারে অভিযুক্ত ওলী উল্লাহ সরকারের মোবাইলে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিপ করনেনি। প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অঞ্জন পুরকায়স্থ বলেন, বর্তমান সভাপতি চরম সেচ্চাচারিতা শুরু করেছেন। মালামাল কোথায় নিয়েছে আমি সহ প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা জানেননা। জিয়াউর রহমান যে অভিযোগ দিয়েছে সম্পূর্ণ সত্য। ক্লাবের মালামাল কই অমরা জানিনা। আশা করি তদন্ত করলে বিষয়টি বেড়িয়ে আসবে।
    প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোৗহদ চৌধুরী প্রদীপ বলেন, ওলীউল্লাহ সরকার ভুয়া কমিটির ভুয়া সভাপতি দাবীদার, যা নিয়ে উপজেলা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা। প্রেসক্লাবের মালামাল রাতে নিয়ে যাওয়ায় বিষটি শুনে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। ক্লাবের মালামাল ক্রয়ে ওলী উল্লাহ সরকারের কোন সম্পৃক্ততা ছিলনা, তিনি উড়ে এসে অনুগত কয়েকজনকে নিয়ে জুড়ে বসেছে। সাংবাদিক সমাজকে কুলষিত করেছে, স্থানীয় সাংবাদিকরা এমন গর্হিত কাজের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
    সিনিয়র সাংবাদিক আ: আহাদ বলেন, বিষটি শুনে খুবই মর্মাহত হয়েিেছ, যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, প্রেসক্লাব প্রতিষ্টার সময় আমিসহ যারা ছিলাম, তারা প্রতিষ্টা কালীন সময়ের কোন সদস্যই মালামাল নেয়ার বিষয়ে জানেন না। ওলীউল্লাহ সরকার ভুয়া কমিটির ভুয়া সভাপতি হয়েই রাতের আধারে মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। অমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মালামাল উদ্ধারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এ ছাড়াও ক্লাবের সদস্য এ বিষয়ে
    ক্লাবের সদস্য অব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মালামাল নেয়ার সময় আমাকে ফোন দিয়েছেন কিন্তু গঠনতান্তিক ভাবে কিছুই জানিনা। প্রচার ও প্রকাসনা সম্পাদক আবুল কালাম জাকারিয়া বলেন, ক্লাবের মালামান কে কোথায় নিয়েছেন কিছুই জানিনা। নিয়ম অনুযায়ী ক্লাবের সবকিছ্ ুসকল সদস্যও সাথে আরোচনা করে করতে হয়। বিষটি অত্যন্ত নিন্দনীয় আমি এর প্রতিবাদ করছি। ক্লাবের সদস্য শেরে আলম শেরু বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছ্ইু জানিনা। বিষয়টি নিন্দনীয়।
    জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content