প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২১ , ১০:০০:৪২ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল বিশেষ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৭ নং পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্গত ঠাকুরভোগ অতি প্রাচীন, সুনামধন্য সুপরিচিত আদর্শ গ্রাম, এ গ্রামে ২ টি মাদ্রাসা, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি জুনিয়র হাই স্কুল, একটি উচ্চ বিদ্যাল়য়, দুইটি সরকারি পল্লী চিকিৎসা কেন্দ্র, তিনটি মসজিদ ও ইউনিয়ন অফিস রয়েছে। ঠাকুরভোগ গ্রামের লোক সংখ্যা নারী পুরুষ সহ প্রায় ১০/১২ হাজার হবে । এ গ্রামের পুরুষ লোক বেশিরভাগ প্রবাসে বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। কিছু সংখ্যক লোক দেশের শহর বন্দরে কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন । এ ঠাকুরভোগ গ্রামটির প্রকৃতিক দৃশ্যাবলী অপূর্ব মনোমুগ্ধকর, সুরমা নদীর তীরে এ গ্রামে সারি সারি ঘরবাড়ি রয়েছে। ৭নং পশ্চিম বীরগাও ইউনিয়নটি অত্র এলাকার নিম্নোক্ত গ্রামগুলো নিয়ে গঠিত হয়েছে ।
➡️ গ্রামগুলো হলো ঠাকুরভোগ, সাপেরকোনা, জয়সিদ্ধি, বড়মোহা, বসিয়া কাউড়ি, দুর্ব্বাকান্দা, মোওকলা, ভাবনগাও, শ্যামনগর, পুরাতন কান্দিগাঁও, কাউয়াজুরী, উমেদনগর, উপস্তির পাড়, টাইলা ও দুর্গাপুর। উক্ত গ্রামের জন সাধারনের জেলা শহর ও থানা শহরের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা খুবই দুর্ভোগপূর্ণ, থানা শহর শান্তিগঞ্জ থেকে রজনীগঞ্জ বাজারে পাকা সড়ক না থাকার কারণে অত্র এলাকার জনসাধারণ সুনামগঞ্জ জেলা শহরে এবং থানা শহরে বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করতে পায়ে হেঁটে এবং সুরমা নদী খেয়া পাড়ি দিয়ে দিরাই উপজেলার অংশ হয়ে অনেক ঘুর পথে যেতে হয়। বাসেও যেতে খুবই দুরাবস্থায় পড়তে হয় মধ্যবর্তী রাস্তা থেকে সহজে সিট খালি পাওয়া যায় না, সময় মত সুনামগঞ্জ ও থানা শহরে পৌঁছাতে খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় জরুরী প্রয়োজনে রোগী হাসপাতালে উপজেলা সদরে পাঠানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে তাই বাধ্য হয়ে দিরাই অথবা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালেই চিকিৎসা নিতে হয় এছাড়াও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের উপজেলা সদরের সাথে শুধুমাত্র যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় দৈনন্দিন হাটবাজার সহ অফিসিয়াল কাজ ব্যতীত বাদবাকি সকল প্রয়োজনীয় কাজ দিরাই উপজেলায় করতে হয় পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের অধিকাংশ বাসিন্দাদের।
তাই সংগত কারণেই শান্তিগঞ্জ বাজার থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমএ মান্নানের গ্রাম ডুংরিয়া হয়ে জয়সিদ্ধি বায়া ঠাকুরভোগ টাইলা হয়ে রজনী গঞ্জ পর্যন্ত আবারা ও পাকা রাস্তা নির্মাণ হলে শুধু পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা নয় দিরাই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজনও এদিকে যাতায়াত করতে পারবে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সাথে দিরাই’র যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
তাই অত্র এলাকার জনসাধারণ তথা পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নবাসীর পক্ষে ঠাকুর ভোগ গ্রামের কৃতি সন্তান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক এম এ গফ্ফার আগামী মাসের নতুন অর্থ বছরে জনস্বার্থে এই প্রকল্প উত্তাপন ও অনুমোদন করতে তিনি অত্র আসনের সাংসদ সদস্য ও মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান মহোদয়ের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। এমএ গফফার বলেন শান্তিগঞ্জ থেকে রজনীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত পাকা সড়ক নির্মিত হলেই উক্ত এলাকার জনসাধারণ সুনামগঞ্জ ও থানা শহরে যোগাযোগ করতে খুবই উপকৃত হবে।
সুনামগঞ্জের উন্নয়নে এমএ মান্নান যুগান্তকারী পদক্ষেপ একেরপুর এক বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন আশাকরি আমাদের ইউনিয়নবাসীর দুর্দশা লাগবে এবং উনার প্রতিবেশী ইউনিয়ন হিসেবে কালবিলম্ব না করেই আগত অর্থ বছরে এই রাস্তা নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।