প্রতিনিধি ২৫ মে ২০২১ , ৯:৫২:০৯ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ ছাতকের চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস অজ্ঞাতনামা কিশোর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন সহ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার এর মাধ্যমে হত্যায় জড়িত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছেন চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান -পিপিএম। আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
থানা সুত্রে জানাযায়, বিগত ৪ ঠা মার্চ সকাল প্রায় ১০ ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলাধীন লাফার্জ ঘাটের দক্ষিণ পার্শ্বে হাওরে দক্ষিণ বাগবাড়ী সাকিনস্থ জনৈক হাজী বাবুল মিয়ার পতিত জমিতে অজ্ঞাতনামা ১৩/১৪ বয়সী কিশোর এর বিকৃত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনতা ছাতক থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ নাজিম উদ্দীন এর নির্দেশে অত্র থানার এসআই মাসুদ রানা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত কিশোরের (লাশটির) সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের লক্ষে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ সুনামগঞ্জ হাসপাতালে প্রেরন করেন। মৃত কিশোরের কোন পরিচয় , দাবিদার বা হত্যার কোন ক্লু না পাওয়ায় এসআই মাসুদ রানা নিজেই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় মামলা দায়ের করেন( মামলা নং-০৬ তারিখ-০৪/০৩/২০২১ইং ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড) । উক্ত মামলার তদন্তভার এসআই আসাদুজ্জামান এর উপর অর্পন করা হয়। এসআই আসাদুজ্জামান প্রায় দুইমাস তদন্ত করার পর ও মামলার কোন রহস্য উদঘাটন সহ মৃত কিশোরের পরিচয় সনাক্ত করিতে না পারায় সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান-বিপিএম এর নির্দেশে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস মামলার পরবর্তী তদন্তভার ছাতক থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান- পিপিএম এর উপর অর্পন করেন ।
সুনামগঞ্জের সু-যোগ্য পুলিশ জনাব মিজানুর রহমান বিপিএম এর সহ ছাতক সার্কেলমোঃ বিল্লাল হোসেন ও ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন এর দিক নির্দ্দেশনায় মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান- পিপিএম এক সপ্তাহের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করিতে সক্ষম হন এবং মৃত অজ্ঞাতনামা কিশোরের পরিচয় সনাক্ত করিতে সক্ষম হন। দুস্কৃতিকারী কর্তৃক নিহত ঐ কিশোরের সাব্বির হোসেন(১৩-১৪) মৌলবীবাজার জেলার জুড়ি থানা এলাকার। লাশটি প্রাপ্তীর স্থান হইতে অনুমান ১৫০গজ দুরে দক্ষিন বাগবাড়ী (লেবারপাড়া) সাকিনের আসামী তাজুল মিয়া ওরফে খসরু মিয়ার বসতঘরের ভিতর কিশোর সাব্বির হোসেনকে নির্মম ভাবে হত্যা করায় এবং লাশ ধার্য পদার্থ দ্বারা পোড়াইয়া বিকৃত করা সহ লাশ ঘুম করার ঘটনায় জড়িত থাকায় ছাতক থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান- পিপিএম এর নেতৃত্বে সংগীয় এসআই উজ্জল মিয়া , এএসআই মোহাম্মদ আলী সহ ফোর্সের সহায়তায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ২৩ শে মে রোজ রবিবার সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার নরশিংপুর গ্রামের বর্তমানে ছাতক উপজেলার দক্ষিণ বাগবাড়ী(লেবারপাড়া) নিবাসী আসামী তাজুল মিযা ওরফে খসরু (৫৫) এবং তাহার স্ত্রী আসামী সুফিয়া বেগম(৪৫) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। গ্রেপ্তারকৃতদের ২৪ শে মে রোজ সোমবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।
ক্লু- লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন সহ আসামী গ্রেপ্তার এর সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী দুইজন মামলার ঘটনায় জড়িত মর্মে বিজ্ঞ আদালতে কাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় সেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলার সচেতন মহল তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বলেন, চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সহ দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামী গ্রেফতার করায় ছাতক থানা তথা সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ছাতক উপজেলাবাসী।