• অনিয়ম / দুর্নীতি

    কাগজে কলমে হাজিরা দেখিয়ে চলছে জালালপুর ইউনিয়নের কর্মসৃজন প্রকল্প!

      প্রতিনিধি ২৬ মে ২০২১ , ১২:৫৯:৫৫ অনলাইন সংস্করণ

    মোঃ বদরুজ্জামান বদরুলঃ হতদরিদ্র শ্রমজীবি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা হরিলুট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে। জালালপুর ইউনিয়নে ২৪৭ জন লেবার বরাদ্দ থাকলেও তা কেবল কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। মাঠে নামে মাত্র কয়েকজন লেবার থাকলেও কাগজে কলমে দেখানো হচ্ছে শতভাগ হাজিরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের যোগসাজশেই দূর্ণীতির এমন মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে প্রকল্প চলমান এলাকায় প্রকল্পের তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও ইউনিয়নের কোথাও প্রকল্পের কোন সাইনবোর্ড লক্ষ্য করা যায়নি। ভূয়া নামের তালিকা করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করতেই সাইনবোর্ড সরবরাহ করা হয়নি বলে অভিযোগ অনেকের।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কর্মহীন শ্রমজীবিদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্প চালু করেছে সরকার। মাঠে কাজ না থাকায় কর্মহীন প্রান্তিক শ্রমজীবি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের মত জালালপুর ইউনিয়নেও ৪০ দিনের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এতে সপ্তাহে পাঁচদিন সরকারী ভাবে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পে মাটি কাটার কথা।

    রবিবার (২৩মে) জালালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নে ২৪৭ জন লেবারের বিপরীতে কাজ করছেন ১নং ওয়ার্ডে ২৬ জন, ৪নং ওয়ার্ডে মাত্র ১৫ জন শ্রমিক। অর্থাৎ ২৪৭ জন শ্রমিক কাজ করার থাকলেও সরজমিনে পাওয়া যায় মাত্র ৪১ জন শ্রমিক। বাকি ২০৬ জন শ্রমিক কোথায় কাজ করছে তার কোন খবর জানেন না ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ ও প্রকল্পের পিআইসি।
    বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন দফতর ম্যানেজ করে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করতেই এভাবে খাতা কলমে শতভাগ শ্রমিক উপস্থিতি দেখিয়ে বাস্তবে নামমাত্র শ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছেন।

    এ ব্যাপারে জালালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, প্রকল্পের কোথায় কত লেবার বরাদ্দ তার কোন খবরই জানেন না তিনি।

    অপরদিকে শাহজাদপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আপনারা যা ইচ্ছা তাই লেখেন।

    এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন, যেখানে যে কয়জন শ্রমিক কাজ করছেন সেই তালিকামতই বিল প্রদান করা হবে।সরকারি প্রকল্পে কোন অনিয়ম দূর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

    আরও খবর

    Sponsered content