প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২১ , ৭:৫৮:৪৩ অনলাইন সংস্করণ
‘আমাদের স্কুলগুলোতে অতিরিক্ত মানুষের আগমন ঘটেছে। যেমন আমি বলেছি যে, জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা ইউএনআরডব্লিউ’র বিদ্যালয়ে গতকাল সকাল পর্যন্ত ৪৭ হাজার জন রয়েছে। সংখ্যাটি আরো বেড়ে চলেছে এবং এখানে মোট ৫২ হাজার অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি রয়েছে’ -যোগ করেন তিনি।
জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেছেন, ফিডার লাইন ও নেটওয়ার্কগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে গাজা জুড়ে এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিদিনের ছয় থেকে আট ঘন্টা সীমাবদ্ধ। ‘এটি স্বাস্থ্যসেবা এবং পানি, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশনসহ অন্যান্য প্রাথমিক পরিষেবাগুলোর বিধানকে ব্যাহত করে’।
তিনি বলেন, ১৩২টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৩১৬টি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, ছয়টি হাসপাতাল ও নয়টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পাশাপাশি একটি পানি শোধনাগার ধ্বংস হয়েছে যা প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার লোকের পানীয়জলের ব্যবস্থা করত। জ্বালানির অভাবে একটি হাসপাতাল অকেজো হয়ে গেছে।
তিউনিসিয়ার স্কুলগুলোতে প্যালেস্তাইন সপ্তাহ শুরু
এদিকে ফিলিস্তিন সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত করার লক্ষ্যে তিউনিসিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল বিদ্যালয়ে ‘প্যালেস্তাইন সপ্তাহ’ শুরু করেছে। ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি জানিয়ে রাজধানী তিউনিসের দক্ষিণ শহরতলির হামাম চোটের একটি বিদ্যালয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কারনোভাইরাস সংক্রমণ রোধে সাময়িক বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় চালু করার পর।
হামাম চট শহরটি ইহুদিবাদী সত্তার বর্বরতার প্রমাণ হিসাবে জীবিত। ১৯৮৫ সালের ১ অক্টোবর দখলদার বিমান বাহিনী ফিলিস্তিনি ফাতাহ আন্দোলনের বাহিনীর সদর দফতর লক্ষ্য করে এ শহরে একটি আক্রমণ চালায়, যার ফলে ৫০ জন ফিলিস্তিনি এবং ১৮ তিউনিসীয় শহীদ হয়েছিল। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।