প্রতিনিধি ১২ মে ২০২১ , ৩:৫৪:৩৮ অনলাইন সংস্করণ
ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনের মুখে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য হামাস প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে ১৩০টি রকেট হামলার ভূঁয়সী প্রশংসা করেন ইসমাইল হানিয়া।
তিনি সুস্পষ্ট করে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইহুদিবাদী ইসরাইল তার আগ্রাসন এবং সহিংসতা অব্যাহত রাখবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার জবাব দেয়ার অধিকার রাখে ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষার অধিকার হামাসের রয়েছে।
এদিকে হামাসের মুখপাত্র ফুজি বারহুম বলেছেন, বোমার জবাব বোমা দিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিরোধ সংগ্রামীরা বিন্দুমাত্র পিছু হটবে না।
তিনি আরো বলেছেন, বোমার পরির্তে ইটপাটকেল নিক্ষেপের দিন বহু আগে শেষ হয়ে গেছে; এখন ইসরাইলির শত্রুর সঙ্গে কথা হবে শক্তির ভাষায়।
হামাসের মুখপাত্র বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিরোধ সংগ্রামীদের সঙ্গে যুদ্ধের ময়দানে পেরে না উঠে গাজার আবাসিক এলাকা এবং অবলা নারী ও শিশুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
গত সোমবার তৃতীয় দিনের মতো মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরাইলি বাহিনী। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় মুসল্লিদের।
আল-আকসা মসজিদ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রকেট হামলার হুমকি দেয় গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে না নিলে ইসরাইলে রকেট ছোড়ে সংগঠনটি।
এরপর গাজা উপত্যকায় একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। অনেক বহুতল ভবন ভেঙে চুরমান করে দেওয়া হচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ১০ শিশুসহ ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অব্যাহত উত্তেজনা নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসলেও ইসরাইলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বাধার কারণে প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতিতে দিতে পারেনি সংস্থাটি।
ইসরাইলি উগ্রবাদীদের জেরুজালেম দখল দিবস উদ্যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে কয়েকশ’ মুসল্লি আহত হন